টুইট-যুদ্ধে অপরূপা এবং শুভেন্দু। ফাইল চিত্র।
শুক্রবার একটি টুইট। তার জল গড়াল বিকেলেও। সকাল ১০টা নাগাদ একটি টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদ নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দাবির সপক্ষে ৪টি চিঠি তুলে ধরেন তিনি। সেই সমস্ত চিঠিতে দেখা যায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট চাকরিপ্রার্থীদের নাম করে তাঁদের চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব করছেন। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই চিঠিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি। শুভেন্দুর নিশানায় ছিলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের, রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা রামনগর কেন্দ্রের বিধায়ক অখিল গিরি এবং বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথকুমার মালিক। এঁদের মধ্যে ৩ জন শুভেন্দুর অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ না খুললেও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সরব হন অপরূপা। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘‘দম থাকলে টুইট করা কাগজ মিডিয়ার সামনে নিয়ে আয়, আমায় আউট করে দেখা।’’
শুক্রবার সকালের টুইটে শুভেন্দু দাবি করেন, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানান এই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে হলে আরও বেশ কিছু তৃণমূল বিধায়ক এবং সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ওই বিধায়ক সাংসদদের তালিকাতেই ছিল অপরূপার নাম। বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ একটি টুইট করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন অপরূপা। সরাসরি ‘তুই’ সম্বোধন করে বিরোধী দলনেতার মুখোশ খুলে দেওয়ার দাবি করেন তিনি। এ-ও জানান যে, এক সপ্তাহের মধ্যে ইডি-সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে তিনি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করবেন। স্বভাবতই দুই নেতানেত্রীর এই টুইট-যুদ্ধ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
অন্য দিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোট তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রবিবার ভোরে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহারো গ্রেফতার করার আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (গ্রেফতারের পর পার্থকে মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সমস্ত দলীয় পদ থেকেও তাঁকে সরানো হয়েছে।) এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দু’জনেই বর্তমানে জেলবন্দি। এই নিয়ে শাসক এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে চাপান-উতোর চলছে। বিজেপির দাবি শাসকদলের আরও অনেক জনপ্রতিনিধি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।