TMC worker set on fire

খেজুরিতে তৃণমূল কর্মীকে গাছে বেঁধে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, অভিযোগ স্থানীয় বিজেপির দিকে

হাসপাতালে শুয়ে ওই তৃণমূল কর্মী অভিযোগ করেছেন, ৩০ থেকে ৪০ জন তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁকে গাছে বেঁধে প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল কর্মীকে গাছে বেঁধে গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা। এই কাণ্ড ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির হেঁড়িয়া এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে ভর্তি করানো হয়েছে কাঁথি হাসপাতালে। ওই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, ভোটে জয়ের পর তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ঘটেছে এই ঘটনা। সদ্য ফল বেরিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সব ধাপেই বিজেপির থেকে অনেকটা এগিয়ে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে খেজুরির ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম নরেন্দ্রনাথ মাজি। তিনি খেজুরি-১ ব্লকের উত্তর কলমদান গ্রামের দক্ষিণপল্লির বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জোর করে তাঁদের জায়গা দখল করে নিচ্ছেন স্থানীয় কয়েক জন। নরেন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্রনাথ এবং তাঁর বাবা রবিবার থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তায় নরেন্দ্রনাথকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, এর পর তাঁকে গাছে বেঁধে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

নরেন্দ্রনাথ গুরুতর জখম হয়ে এখন কাঁথির দারুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে শুয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ৩০ থেকে ৪০ জন তাঁর উপর চড়াও হন। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নরেন্দ্রনাথ। তিনি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত, এমনটাই দাবি করেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপি তা অস্বীকার করেছে। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েতের দখল রাখা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতা অসীম মিশ্র বলেন, ‘‘খেজুরির ঘটনার সঙ্গে বিজেপিকে জুড়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে। ওখানে তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটে গায়ের জোরে জিতেছে। সেখানে প্রধান হওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি চলছে। এই ঘটনার নিন্দা করছে বিজেপি। বিজেপি এ সব কোনও ভাবে সমর্থন করে না।’’

Advertisement

এ নিয়ে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ জানানো হয় খেজুরি থানায়। পরে তৃণমূলের তরফে হেঁড়িয়া পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ বয়ান নেবে নরেন্দ্রনাথের। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের খোঁজ চলছে। প্রসঙ্গত, এ বার পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৭০ আসনের মধ্যে ৫৬টিই তৃণমূলের দখলে। বিজেপির মাত্র ১৪। জেলার ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেও ১৩৭টি শাসকদলের দখলে। বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ৬১টি। জেলার ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৯টি দখল করেছে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement