Naushad Siddiqui

আমাকে ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূলের লোক, আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন নওশাদ সিদ্দিকি

ডিএ-র দাবিতে অনশন করা সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চে শনিবার গিয়েছিলেন নওশাদ। সেখানেই বক্তৃতা করার সময় তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ১৯:০১
Share:

ডিএ-র ধর্না মঞ্চে নওশাদকে ধাক্কা এক ব্যক্তির। নিজস্ব ছবি।

মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে আন্দোলনকারীদের মঞ্চে তাঁকে তৃণমূলের লোকই ধাক্কা দিয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে এমনটাই জানালেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এমনকি, সেই ব্যক্তি কোনও একটি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বলেও দাবি করেন তিনি।

Advertisement

ডিএ-র দাবিতে অনশন করা সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চে শনিবার গিয়েছিলেন নওশাদ। সেখানেই বক্তৃতা করার সময় তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঞ্চে বক্তৃতা করার সময় নওশাদের সামনে এসে হাজির হন এক যুবক। কথা বলতে বলতেই বিধায়ককে জোরে ধাক্কা দেন আগন্তুক। নওশাদ পরে বলেন, ‘‘আমাকে ওই ব্যক্তি প্রশ্ন করেন, সংখ্যালঘুদের জন্য আপনি কী করেছেন? আমি বলি, সংখ্যালঘুদের জন্য স্পেসিফিক (নির্দিষ্ট) কিছু করতে চাইছি না। শুধু সংখ্যালঘুদের জন্য নয়, সংখ্যাগুরুদের জন্য করতে চাই। কথা শেষ করতে না করতেই আমাকে ধাক্কা মারেন ওই ব্যক্তি।’’

এর পরেই অভিযোগের সুরে ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, যিনি আমার উপর আক্রমণ চালিয়েছেন, তিনি কোনও একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য।’’ নওশাদকে ধাক্কা মারলে চমকে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলে নেন নওশাদ। ওই যুবককে তত ক্ষণে ঘিরে ধরেন মঞ্চে উপস্থিত অন্যেরা। সেই সময় নওশাদ তাঁদের শান্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানান। আটক হওয়া ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

Advertisement

তৃণমূল যদিও নওশাদের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘যে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ। তাই সেই বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। তবে তিনি ওই মঞ্চে গিয়েছিলেন অশান্তির উস্কানি দিতে। উস্কানির আগুনে ঘি দিয়ে তিনি রাজ্যকে অশান্ত করতে চাইছেন।’’

তবে তাঁর উপর এমন হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, ‘‘আমার উপর হামলা করে কিংবা জেলে আটকে রেখে আমাকে থামানো যাবে না। আমি আগেও যে ভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছি, আগামী দিনে সেই লড়াই আরও দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে।’’

উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠার দিবসে ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নওশাদ-সহ আইএসএফের ৮৮ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। দীর্ঘ দিন কারাবাসে থাকার পর ২ মার্চ জামিন পান নওশাদ। তবে মুক্তি পান ৪ মার্চ। ৪১ দিন কারাবাস কাটিয়েই ফের রাজনীতির মঞ্চে গতিবিধি শুরু করেছেন ফুরফুরা শরিফের এই পিরজাদা। তার মধ্যেই শনিবার তাঁকে ধাক্কা মারার ঘটনা ঘটল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement