Bardhaman

চাকরির নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত বর্ধমানের তৃণমূল নেতা, দল বলল, হস্তক্ষেপ নয়

কিছু দিন আগে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। ধর্ষণের অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলাও রুজু করা হয়। তরুণীর দাবি, তার কয়েক দিন পর ওই মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হয় মঙ্গলকোট থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৪৫
Share:

ফাইল চিত্র।

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা এবং ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বর্ধমানের এক তৃণমূল নেতা। সম্প্রতি এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দেবাশিস পাল নামে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। তিনি বলেন, ‘‘মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দেবাশিস পালকে গুসকরা থেকে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।’’

Advertisement

কিছু দিন আগে বর্ধমানের আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। ধর্ষণের অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলাও রুজু করা হয়। তরুণীর দাবি, তার কয়েক দিন পর ওই মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হয় মঙ্গলকোট থানায়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তরুণী। সেই সঙ্গে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তার পরেই বুধবার গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। জেলার এক শীর্ষ পুলিশকর্তা জানান, এত দিন ওই তৃণমূল নেতা পলাতক ছিলেন বলে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। বুধবার নাগালে পেতেই তাঁকে পাকড়াও করা হয়। দেবাশিসের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। কোনও অন্যায়কারীর পাশে দল থাকবে না।’’

হাই কোর্টে তাঁর আবেদনে তরুণী দাবি করেছেন, গত বছরের ৩১ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের এক তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি টাকার বিনিময়ে তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। ওই তরুণীর দাবি, তাঁকে বলা হয়েছিল, ১০ লক্ষ টাকা দিলে দু’মাসের মধ্যে স্কুলের গ্ৰুপ-সি কিংবা গ্ৰুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়া হবে। তরুণীর আরও দাবি, সেই মতো তিনি ওই অঞ্চল সভাপতিকে ১০ লক্ষ টাকা দেন। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও স্কুলে চাকরি করিয়ে দেননি ওই তৃণমূল নেতা, এমনটাই আদালতে জানিয়েছেন ওই তরুণী। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে গেলে ওই নেতা তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। তরুণীর দাবি, চলতি বছরের মার্চে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তাঁর আরও দাবি, চাপের মুখে সেই সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন ওই নেতা। যদিও তিনি পরে ওই প্রতিশ্রুতি পালন করেননি বলেই তরুণী জানিয়েছেন। অভিযোগ, উল্টে ওই তরুণীকে মারধর করে গর্ভস্থ সন্তানকে ‘নষ্ট’ও করে দেন ওই তৃণমূল নেতা। হাই কোর্টে জানানো আবেদনে ওই তরুণীর আর্জি, অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের ডিজি এই বিষয়ে পদক্ষেপ করুন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement