ক্যানিংয়ে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।
ক্যানিংয়ে পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিন জন খুনের ঘটনায় নিহতদের বাড়ি গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। শনিবার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে তারা দেখা করে। প্রতি পরিবারের হাতে চার লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেয় প্রতিনিধি দল। অন্য দিকে, এই খুনের ঘটনায় বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের গোপালপুর পঞ্চায়েতের নারায়ণতলা এলাকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিন জনকে গুলি করে এবং কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় শনিবার এক আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারই মধ্যে এলাকায় যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ওই দলে সদস্য হিসাবে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, শুভাশিস চক্রবর্তী এবং রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল-সহ সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা এলাকার বিধায়কেরা।
শনিবার নারায়ণতলা এলাকায় নিহতদের বাড়ি যেতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ওই প্রতিনিধি দল। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা। বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল। প্রতিনিধি দলের সদস্য মালার দাবি, ‘‘বিজেপিআশ্রিত দুস্কৃতীরাই আমাদের তিন কর্মীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের কথা পুলিশকে বলেছি। আশা করি সুবিচারই পাবে পরিবারগুলি।’’
এই ঘটনায় তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও, তা অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুমিত দাস বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় পুলিশ যাঁকে গ্রেফতার করেছে, তিনি তৃণমূল করতেন। তা হলে খুনের জন্য কী ভাবে বিজেপি দায়ী হল! পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই, তৃণমূলে দুষ্কৃতীতে ভরে গিয়েছে। তারই ফল এই খুনের ঘটনা।’’ পাশাপাশি, এই হত্যার ঘটনার পিছনে এসইউসিআই জড়িত রয়েছে বলে দাবি পরিবারগুলির একাংশের।