ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত চা বিক্রেতা কালুদিও। ছবি: টুইটার।
‘আজ চা ফ্রি...’— সাদা কার্ডবোর্ডে নীল রঙের কালিতে গোটা গোটা ইংরেজি হরফে লেখা কথাগুলো। সামনে সার দেওয়া কাচের বয়ামে রকমারি ‘বিস্কুট’। একপাশে উপুড় করে রাখা লাল রঙের মাটির ভাঁড়। একটু তফাতে একখানি বার্নারে চাপানো অ্যালুমিনিয়ামের কেটলি। ধার ঘেঁষে প্লাস্টিকের ছাঁকনি, ডেকচিও। পাড়ার চায়ের গুমটির চেনা ছবি। সেই গুমটিরই জানলায় রাখা ছোট্ট প্ল্যাকার্ড। যদিও তার বয়ানটি ‘বড়’। কারণ তাতে লেখা আছে ‘‘আজ চা ফ্রি ফর আর্জেন্টিনা বাই কালুদি।’’ বাংলা অর্থ আজ আর্জেন্টিনাকে চা ফ্রিতে দেবেন কালুদি।
ফুটবল জ্বরে দপ দপ করছে পৃথিবী। এর মধ্যেই টুইটারে ভেসে উঠেছে ছবিটি। স্বাতী মৈত্র নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী ছবিটি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘কেন একজন বাঙালি চা বিক্রেতা আর্জেন্টিনাকে বিনামূল্যে চা খাওয়াবেন! তার কারণ তিনি খাওয়াতে পারেন। ফুটবল যেমন কাঁদায় তেমনই অফুরান ভালওবাসতে শেখায়।’’
স্বাতীর পোস্টে স্পষ্ট, চায়ের দোকানটি বাংলার। কালুদির দোকানের বিজ্ঞাপনের ‘আজ’ যে ১৮ ডিসেম্বর ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন সে ব্যাপারেও সন্দেহ নেই কোনও। তবে ফুটবল নিয়ে এই আবেগ নিঃসন্দেহে বিস্ময় জাগায়। কারণ বাংলার কোনও এক শহর বা শহরতলির কালুদিও সেখানে এ কয়েক হাজার মাইল দূরের বুয়েনোস আইরেসের সঙ্গে একাত্মবোধ করেন। নিজের শহরের মেসি-আলভারেস-মার্টিনেজ়দের চা খাইয়ে তৃপ্তি পান।
স্বাতীর ওই টুইটটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারে। তাতে নানারকম মন্তব্যও করেছেন অনেকে। কেউ লিখেছেন, ‘‘আমি তো শুনেছিলাম ব্রাজিলের ম্যাচের আগে কলকাতায় ফ্রিতে ঘুগনিও পাওয়া যাচ্ছিল।’’ কেউ বা লিখেছেন, বাংলার সব চায়ের দোকানেই এখন মেসি (লিওনেল মেসি) এবং বাপিদা (কিলিয়ান এমবাপে) গনগনে আলোচনার বিষয়। তবে কালুদির দয়ার তুলনা হয় না।’’