—প্রতীকী ছবি।
সামজমাধ্যমে নাম না-করে একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্বভারতীর একটি ভবনের এক ছাত্রী। ওই ছাত্রীর পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা।
একটি ফেসবুক গ্রুপে ওই ছাত্রী লিখেছেন, “শান্তিনিকেতনে পড়তে এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে, কিন্তু আর টিকতে পারছি না। শারীরিক আর মানসিক, দু’দিক দিয়েই শিকার হয়ে যাচ্ছি। ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। আজকে বাধ্য হয়ে এখানেই লিখলাম।’’
ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ‘শারীরিক’ ভাবে কয়েক জন ‘পশু ন্যায়’ শিক্ষকের ‘শিকার’ তিনি। তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা আর বিশ্বভারতীতে পড়া আমার জীবনে যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশি দিন হয়তো টিকতে পারব না... এই শারীরিক নির্যাতন আমায় শেষ করে দিয়েছে।”
লেখাটির শেষে নিজেকে স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলে জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া।
তবে এই নিয়ে পুলিশ বা বিশ্বভারতীতে লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে সূত্রের খবর। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এমন কোনও অভিযোগ আমরা এখনও পর্যন্ত পাইনি। এমন অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”
মাস খানেক আগে এক গবেষক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বিশ্বভারতীর বিনয়ভবনের শিক্ষা বিভাগের এক শিক্ষককে। এখন তিনি জামিনে মুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি আর এক গবেষিকা সঙ্গীতভবনের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। তাঁকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। এরই মাঝে এক ছাত্রীর সমাজ মাধ্যমের ওই লেখায় বিশ্বভারতীতে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।