খড়্গপুরে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র প্রতিবাদ সভা। —নিজস্ব চিত্র।
আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক দেবমাল্য বাগচীর মুক্তির দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। দেওয়া হচ্ছে স্মারকলিপি, হচ্ছে প্রতিবাদ সভা।
বুধবার বিকেলে দেবমাল্যর নিজের শহর খড়্গপুরের পুরাতন বাজার মোড়ে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র উদ্যোগে পথসভা হয়। সেখানে দেবমাল্য এবং ওই মামলায় আরেক ধৃত বাসন্তী দাসের মুক্তির দাবি জানানো হয়। ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অধ্যাপক চঞ্চল চক্রবর্তী। তাঁরা বাসন্তীর পাড়াতেও যান। সেখানেই চোলাই ঠেক চলছে বলে অভিযোগ। ওই ঠেক বন্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন চঞ্চল। চোলাই বিক্রেতাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আবেদনও জানান তিনি।
দেবমাল্যর মুক্তির দাবি জানিয়েছে সিপিআই এম এল লিবারেশনও। লিবারেশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে বুধবার খড়্গপুরে এক কর্মসূচি হয়েছে। প্রতিবাদ কর্মসূচি। ছিলেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। লিবারেশনের দাবি, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাংবাদিককে। তাঁর মুক্তির পাশাপাশি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে তারা। যে এলাকায় চোলাই মদের কারবার চলে বলে অভিযোগ, সেখানে লিবারেশনের প্রতিনিধিরাও গিয়েছিলেন।
ধৃত সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাব এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ই-মেল বার্তা পাঠিয়েছে। ক্লাবের সম্পাদক অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, “সমাজের সত্য তুলে ধরা সাংবাদিকদের কাজ। তার জেরেই রোষের মুখে পড়তে হয়েছে দেবমাল্যকে। দেবমাল্যর পাশাপাশি ধৃত প্রতিবাদী মহিলার দ্রুত মুক্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে ই-মেল করা হয়েছে।” দেবমাল্যের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জার্নালিস্ট ক্লাবও। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণর মাধ্যমে ওই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ক্লাবের সম্পাদক অনুপ সান্যাল বলেন, “কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই পারে। কিন্তু পুলিশ যেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে। কোনও সাংবাদিক স্বাধীন ভাবে কাজ করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার না হন, তা দেখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।’’