Police Custody

পুলিশি হেফাজত পার্থের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার সন্তুর

সোমবার বেহালার বাসিন্দা প্রোমোটার সন্তুকে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:০৭
Share:

সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। সোমবার বেহালার বাসিন্দা প্রোমোটার সন্তুকে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়।

Advertisement

সন্তুর আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, ‘‘গত দেড় বছরে মোট দশ বার সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন সন্তু। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চার্জশিট পেশ করেছে। সিবিআই ও ইডি-র মামলায় অনেক অভিযুক্তই এখন জামিন পেয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার জন্য সিবিআই অন্য মামলায় গ্রেফতার করেছে।"

সন্তুর চার দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা বলেন, ‘‘তদন্তে নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছে না প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের অন্যতম চাঁই সন্তু। তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে। সেই কারণেই তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে।"

Advertisement

সোমবার বিচার ভবনে সিবিআই বিশেষ আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির ইডির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের প্রাথমিকের মামলায় গ্রেফতারের (শোন অ্যারেস্টে) আবেদন করে সিবিআই। বিচারক সিবিআইয়ের আর্জি মঞ্জুর করেন। দু'জনকে মঙ্গলবার সশরীরে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে এ দিন অসুস্থতার কারণে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশগ্রহণ করে। শান্তনু সশরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক বলেন, "সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সশরীরে আদালতে পেশ করতে হবে। তার পরই গ্রেফতারের আবেদনের শুনানি হবে।"

এর পর বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীদের প্রশ্ন করেন, "এত দিন কেন গ্রেফতার করেননি?"সিবিআইয়ের আইনজীবীরা বলেন, "সুজয়কে 'শোন-অ্যারেস্ট' করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বেশ কিছু ‘ডিজিটাল এভিডেন্স’ হাতে এসেছে। এই কারণেই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে।" সিবিআই আইনজীবীরা বলেন, "এর আগেও অন্য মামলায় অভিযুক্তকে ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে এই আদালতে 'শোন অ্যারেস্ট'করা হয়েছিল।’’

এর পরই বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীদের কাছ থেকে কেস ডায়েরি দেখতে চান। সিবিআইয়ের তরফে কেস ডায়েরি দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement