NHRC

‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ দেখতে সাত সদস্যের দল গঠন করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হয়েছে ওই দল। কমিশনের সদস্য রাজীব জৈনের নেতৃত্ব দলটি রাজ্যে এসে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২১ ১৯:০৭
Share:

জাতীয় মানবধিকার কমিশন। নিজস্ব চিত্র

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে আগেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের সেই নির্দেশ মতো সোমবার ৭ সদস্যের দল গঠন করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রতিনিধি মিলিয়ে দলটি তৈরি করা হয়েছে। কমিশনের সদস্য রাজীব জৈনের নেতৃত্বে ওই দলটি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ নথিভুক্ত করবে।

Advertisement

হাই কোর্টের নির্দেশ মতো সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি দল গঠন করে। ওই দলে রাজ্য ও কেন্দ্র মিলিয়ে ৭ জন প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। রাজীব ছাড়াও ওই দলে রয়েছেন সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আতিফ রশিদ, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজি পদ মর্যাদার তদন্তকারী অফিসার সন্তোষ মেহরা এবং মঞ্জিল সাইনি, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার পাঁজা, রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সদস্য সেক্রেটারি রাজু মুখোপাধ্যায়। সোমবার কমিশন তরফে জানানো হয়েছে, হাই কোর্টের নির্দেশ মতো পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের তদন্ত করবে এই কমিটি। রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি এবং কমিশনে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। কমিটির মূল লক্ষ্য, হিংসার কারণে ঘরছাড়াদের পুনরায় মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। হিংসায় আক্রান্তরা যাতে নিজেদের বাসস্থান, কর্মক্ষেত্র ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে সেই উদ্দেশে কাজ করবে।

বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির অভিযোগ ওঠে। এর ফলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘরছাড়া হতে হয় অনেককে। এই অভিযোগ তুলে গত মাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। গত শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালতে হিংসার রিপোর্ট জমা হয়। সেখানে হিংসার ঘটনায় রাজ্য সরকার ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। ফলে আদালতের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য। ওই দিন আদালত নির্দেশ দেয়, ভোটের পর যাবতীয় অশান্তির অভিযোগের তদন্ত করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তারা একটি দল বা কমিটি গঠন করবে। যারা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে হিংসার রিপোর্ট নথিভুক্ত করবেন। এমনকি ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতেও তারা সহযোগিতা করবে। তাদেরকে সাহায্য করবে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ও পুলিশ। কোনওরকম অসহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তার দায় রাজ্যকে নিতে হবে। এই নির্দেশ না মানলে আদালত অবমাননার পড়তে হবে বলেও সতর্ক করে আদালত।

Advertisement

উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। ওই দিন রাজ্যের আবেদনকে খারিজ করে দেয় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৩০ জুন। ওই দিনের মধ্যেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তাদের রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement