ফাইল চিত্র।
অনেক টানাপড়েনের পরে কাজ শুরু করেছে রাজ্যের প্রথম স্বাস্থ্য কমিশন। এবং সূচনাতেই এক অভিযুক্ত চিকিৎসকের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তারা। কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা ঠুকে দিয়েছেন মহেশ গোয়েন্কা নামে ওই চিকিৎসক।
এক শিশুকন্যার চিকিৎসায় গাফিলতির দায়ে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। তাদের পর্যবেক্ষণ, শিশুটির চিকিৎসায় যুক্ত ওই হাসপাতালের প্রবীণ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রাথমিক প্রমাণও মিলেছে। কমিশন তাই বিষয়টি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছেও পাঠিয়েছে। কমিশনের ওই পর্যবেক্ষণ এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে বিষয়টি পাঠানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই হাইকোর্টে মামলা করেছেন ওই চিকিৎসক।
বুধবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে। আবেদনকারী চিকিৎসক মহেশ গোয়েন্কার আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত আদালতে জানান, কমিশন কোনও প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, নার্সিংহোমকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিতে পারে। হাসপাতালের কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগের বিচারও করতে পারে। কিন্তু তারা কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষণ করতে বা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দিতে পারে না। কমিশনের সেই কাজ করার এক্তিয়ার নেই। আজ, বৃহস্পতিবারেও মামলাটির শুনানি হয়, আদালতে সেই আর্জি জানান সরকারি কৌঁসুলি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
বিচারপতি বসাকের আদালতে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া বা এমসিআই-এর একটি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছেন পূর্ণেন্দু রায় নামে এক চিকিৎসক। এ দিন সেই মামলারও শুনানি ছিল। ওই চিকিৎসকের আইনজীবী প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় ও ব্রতীন দে আদালতে জানান, এক মহিলার মৃত্যুতে রাজ্য মেডিক্যাল কমিশন তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু এমসিআই গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পূর্ণেন্দুবাবু এক বছর প্র্যাক্টিস করতে পারবেন না। এমসিআই-এর কৌঁসুলি সৌগত ভট্টাচার্য সওয়ালের জন্য এ দিন আদালতের কাছে সময় চান। আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে।