Suvendu Adhikari

বিধায়কদের ‘মনের কথা’ শুনুন শুভেন্দুও, চায় দল

আলিপুরদুয়ারে সোমবার দুপুরে বৈঠকে বসেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে, সুমনের বিরুদ্ধে ধিক্কার-মিছিল করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৫
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

দলের নেতাদের নিয়মিত ব্যবধানে দলীয় বিধায়কদের কথা শোনার জন্য সময় দিতে হবে। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে, সোমবার এমনই সুর শোনা গিয়েছে জেলার গৈরিক শিবির থেকে। দলীয় বিধায়কদের অভাব-অভিযোগ রয়েছে কি না, নির্দিষ্ট ব্যবধানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তা শোনা উচিত বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতাদের একাংশ। জেলায় দলের বাকি চার বিধায়কের সঙ্গে এক বা দু’সপ্তাহে অন্তত এক বার বিজেপি সাংসদ জন বার্লাও আলোচনায় বসুন, চান তাঁরা। সুমন-কাণ্ডের পরে, সমাজমাধ্যমে বিজেপির জেলা সভাপতি বদলের দাবি তুলেছেন দলের কেউ কেউ। তবে জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতারা দাবি করেছেন, সুমন তৃণমূলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হয়নি, তা বোঝাতে ১০ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ার শহরে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মহামিছিল করা হবে।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারে সোমবার দুপুরে বৈঠকে বসেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে, সুমনের বিরুদ্ধে ধিক্কার-মিছিল করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “সুমনের উচিত ছিল, আগে বিধায়ক পদ ছাড়া। পরে, অন্য দলে যোগ দেওয়া।” সুমনকে টিকিট দেওয়া নিয়েও বিজেপির নেতা-কর্মীদের অনেকেই সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ জেলা সভাপতি বদলের দাবি তুলেছেন। জেলা বিজেপি সভাপতি ভূষণ মোদক অবশ্য বলেন, “কেউ যদি প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে দলবদলে মনস্থির করে ফেলেন, তা হলে সভাপতি কী করবেন? আগের সভাপতি (গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা) নিজেই দল বদলেছিলেন।”

সুমনকে এ দিন ফোন করা হলে, ধরেননি। জবাব মেলেনি মেসেজের। তবে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘তৃণমূলের ফাঁদ পাতার দরকার হয় না। লোকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ দেখে আকৃষ্ট হয়।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারে দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক, জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল এবং শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর দলের অন্দরে নিজস্ব ‘শিবির’ রয়েছে। সম্প্রতি মৃদুল বনাম প্রকাশ গোষ্ঠীর ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। সেখানে সুমনের সঙ্গে অন্যদের, বিশেষ করে সৌরভের সমীকরণ কেমন হয়, তা নিয়ে চিন্তিত দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। কারণ, সৌরভকে গত বিধানসভা ভোটে সুমন হারিয়েছিলেন। সৌরভ অবশ্য বলেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’’

Advertisement

বিধায়কদের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের সমন্বয়ে জোর দিতে চান কোচবিহার বিজেপি নেতৃত্বও। সোমবারই এ বিষয়ে কোচবিহারের কয়েক জন বিধায়কের সঙ্গে কলকাতায় এক প্রস্ত আলোচনা করেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার মধ্যেই এ দিন দিনহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি উদয়ন গুহের মন্তব্য, ‘‘এক-এক দিন এক-একটা উইকেট পড়বে। কখন, কোন উইকেট পড়বে আগে বলা যায় না।’’ তবে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘কোচবিহারে দলের সংগঠন মজবুত। এখান থেকে তৃণমূলে কেউ যোগ দেবেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement