আমা দাবলামের শীর্ষে আবির। ছবি সৌজন্য: আবির হুদাইত।
পেশায় বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী, তবে পাহাড় তাঁকে টানে। আর সেই পাহাড়-প্রেম থেকেই এ বার নেপালের আমা দাবলাম শৃঙ্গে (উচ্চতা ৬৮১২ মিটার) সফল
আরোহণ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা আবির হুদাইত। শুক্রবার সকালে কঠিন ছ’হাজারি ওই শৃঙ্গটির শীর্ষে পৌঁছেছেন বছর তিরিশের যুবক।
লক্ষ্য ছুঁয়ে শনিবার প্যাংবোচে নেমে এসেছেন আবির। সেখান থেকেই তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ক্যাম্প-২ থেকে সামিট পুশ শুরু করেছিলেন। শুক্রবার সকাল ৯টায় (স্থানীয় সময়) কঠিন পথ পেরিয়ে পৌঁছন শীর্ষে। আবিরের কথায়, ‘‘ক্যাম্প-২ থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম সামিটের দিকে। ক্যাম্প-৩-এর পরে জোরে হাওয়া দিচ্ছিল। তা-ও খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে গোটা অভিযানে দলে আমি ও আমার শেরপাই শুধু ছিলাম, ফলে প্রায় ২০ কেজির ব্যাগ বইতে হয়েছে আমাকে। অতটা ওজন নিয়ে ওঠা-নামাটা কষ্টকর ছিল।’’
আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের জোতঘনশ্যাম গ্রামের বাসিন্দা, অধুনা মধ্যমগ্রামনিবাসী আবিরের পাহাড়-প্রেমের শুরু কয়েক বছর আগে। তার পরে দার্জিলিঙের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট (এইচএমআই) থেকে পর্বতারোহণের কোর্স করে একের পর এক ছোট-বড় পাহাড়ে আরোহণ শুরু করেন। হিমাচলের সিবি ১৩, ভাগীরথী ২, নেপালের আইল্যান্ড পিক, আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারোর শীর্ষ ইতিমধ্যেই ছুঁয়ে এসেছেন তিনি। এ বছরের শুরুতে কিলিমাঞ্জারো ছুঁয়ে আসার পরে, আট হাজারি শৃঙ্গাভিযানের প্রস্তুতি হিসাবে আমা দাবলামের মতো কঠিন শৃঙ্গকেই বেছে নেন প্রচারবিমুখ ওই যুবক।
২০২০ সালে আমা দাবলামে অভিযান চালানো পর্বতারোহী সূর্য চৌধুরীর সঙ্গে আবিরের দেখা ও বন্ধুত্বের সূচনা এই অভিযানের সূত্র ধরেই। সূর্য জানিয়েছেন, অক্টোবরের শুরুতেই নেপালে পাড়ি জমিয়েছিলেন আবির। ১৬ অক্টোবর কাঠমান্ডু থেকে রওনা দেন আমা দাবলামের দিকে। পথে লোবুচে ইস্ট শৃঙ্গেও (৬১১৯ মিটার) আরোহণ করেন আবির।