প্রতীকী চিত্র। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
কাশ্মীরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার ঝাড়খণ্ডে খুন হলেন জঙ্গিপুরের এক শ্রমিক। দেড় মাস আগে রঘুনাথগঞ্জের বিনপাড়া থেকে ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার গোয়েলকেরায় কাজে গিয়েছিলেন এসরাইল শেখ (৩৩) নামে ওই শ্রমিক। তিনি সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এলাকার তিন আদিবাসী যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় এক ঠিকাদার খাইরুল শেখ এসরাইলকে নিয়ে যান ঝাড়খণ্ডে। খাইরুল জানান, একটি স্কুলে নির্মাণের কাজ করছিলেন এসরাইল ও তাঁর বন্ধু মহম্মদ ইসমাইল। রবিবার দিনভর কাজ করে ওই স্কুলের একটি ঘরে রাতে ঘুমিয়েছিলেন তাঁরা। রাতে এসরাইল ফোনে কথাও বলেন স্ত্রী হাসনারা বিবির সঙ্গে।
তার পরে সোমবার সকাল থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পুলিশ প্রাথমিক সন্দেহে আটক করে এক আদিবাসী যুবককে। বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয় আরও দু’জন আদিবাসী যুবককে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এলাকার মহাদেবশাল গ্রামের রেললাইন লাগোয়া এক পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে পুলিশ উদ্ধার করে এসরাইলের ক্ষতবিক্ষত দেহ। এসরাইলের বাবা তারেশ শেখ বলেন, “ছেলের সঙ্গে ইসমাইল ছিল। তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে থেকেও সে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়নি।’’
ঝাড়খণ্ডের পুলিশ জানিয়েছে, আদিবাসীদের সঙ্গে গোলমালের জেরেই এই খুন। তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশের কাছে খুনের কথা তারা স্বীকারও করেছে। কিন্তু নিহত শ্রমিকের স্ত্রী হাসনারা পুলিশের দাবি মানতে চাননি।