প্রতীকী ছবি।
মায়ের দেহ নিয়ে চার দিন ধরে ঘরেই ছিলেন এক ব্যক্তি। দুর্গন্ধ ছড়াতে জানাজানি হয় এলাকাজুড়ে। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে। রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী নামে ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘দেহটি ঘরেই রাখা হয়েছিল। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রামকৃষ্ণ মা কুসুমের সঙ্গে বাড়িতেই থাকতেন। কয়েক দিন ধরেই কুসুমকে দেখতে না পেয়ে পড়শিরা তাঁদের বাড়িতে যান। তখন রামকৃষ্ণ জানান, চার দিন আগে মারা গিয়েছেন তাঁর মা। সে সময় বাড়ি থেকে পচা গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল বলে বাসিন্দাদের দাবি। এর পরে তিনি দেহটি বাইরে বারান্দায় বার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নিখিল মণ্ডল বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে রামকৃষ্ণর মাকে দেখতে না পেয়ে স্থানীয় ছেলেরা তাঁকে চাপ দিলেই তিনি মায়ের মৃত্যুর খবর জানান।’’ নিখিলও দাবি করেন, রামকৃষ্ণর মানসিক ভারসাম্য কিছুটা কম। গত তিন মাস ধরে ঘর থেকে বার হন না তিনি। তবে রামকৃষ্ণ বলেন, ‘‘চার দিন আগে মা মারা গিয়েছেন। পড়শি এক জনকে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি কিছু শোনেননি। তাই ঘরেই ছিল মায়ের দেহ।’’