প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, অ্যাপে তথ্য তুলতে স্মার্টফোন দেওয়া, বকেয়া মেটানো, অতিরিক্ত কাজের উপযুক্ত ভাতা-সহ আট দফা দাবি আদায়ে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন গ্রামীণ এলাকার আশাকর্মীদের বড় অংশ। কাল, রবিবার পালস পোলিয়ো টিকাকরণ কর্মসূচি আছে। আশাকর্মীরা কর্মবিরতি চালালে তা ধাক্কা খেতে পারে। আশাকর্মী সংগঠনের পক্ষে পাপিয়া অধিকারীর ক্ষোভ, “পোলিয়ো টিকাকরণের দিনে ৭৫ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। এটা কি ন্যায্য পারিশ্রমিক?” সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য অর্চনা খাঁ বলেন, “বিভিন্ন স্তরে কাজের জন্য ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন। সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে কর্মবিরতি চলবে।”
সূত্রের খবর, সিএমওএইচদের মাধ্যম্যে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় আশাকর্মীদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। কথা বলে টিকাকরণ সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী। বিকল্পের চিন্তাও করা হচ্ছে, জানান হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমন বক্সী।
শুধু অন্তঃসত্ত্বাদের প্রসবের জন্য এ দিন উত্তর দিনাজপুরে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছন আশাকর্মীরা। বাড়ি-বাড়ি ওষুধ ও প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি। কর্মবিরতির প্রভাব কোচবিহারের কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পড়ে। শিলিগুড়ি শহরের হাশমিচকে অবস্থান বিক্ষোভ করে পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের দার্জিলিং জেলা শাখা। মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ হয়। মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ন্যূনতম ২৬ হাজার টাকা বেতন-সহ নানা দাবিতে এ দিন কলকাতায় বিক্ষোভ দেখায় সিটু অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইসিএডিএস কর্মী সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়ন। ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, আশাকর্মী সংগঠনের মধুজা সেনরায়, সাবিনা ইয়াসমিন, অঙ্গনওয়াড়ি সংগঠনের রত্না দত্ত, শীলা মণ্ডল প্রমুখ।