দেবীপক্ষেই পরপর দু’দিন রাজ্য প্রশাসনে বড়সড় রদবদল নবান্নের। ফাইল চিত্র।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও বড়সড় রদবদল হল রাজ্য প্রশাসনে। দফতর বদল হল বেশ কয়েক জন শীর্ষ আধিকারিকের। কয়েক জন আধিকারিকের পদোন্নতিও হয়েছে। রদবদল হয়েছে ব্লক স্তরের আধিকারিকদের মধ্যেও। মঙ্গলবার প্রশাসন ও কর্মী নিয়োগ দফতরের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশনামা জারি করা হয়েছে। সেখানেই একের পর এক বদলির নির্দেশ। নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বদলি হওয়া আধিকারিকেরা পুজোর ছুটির পর নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
নবান্নের ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব প্রসেনজিৎ হংসকে পাঠানো হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব করে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব সুক্তিসীতা ভট্টাচার্যকে পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব পদে। পরিবহণ দফতরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ থেকে রাজনভীর সিংহকে পাঠানো হয়েছে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব করে। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক অংশুল গুপ্তকে। ময়ূরী ভাসুকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এসবিএসটিসি)-এর বিশেষ সচিব ও দুর্গাপুর পুরসভার অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে পাঠানো হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব পদে। দাভল জৈনকে হাওড়া পুরসভার পাশাপাশি হাওড়ার জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খ়ড়্গপুরের মহকুমাশাসক দিলীপ মিশ্রকে তফসিলি উন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক অদিতি চৌধুরীকে নারী ও শিশু সমাজকল্যাণ দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছে। হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক সন্দীপ ঘোষকে আনা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা দফতরের যুগ্ম সচিব পদে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রিয়দর্শীনি এস-কে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের যুগ্ম সচিব পদে আনা হয়েছে। নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক রবিপ্রকাশ মিনাকে করা হয়েছে কৃষি দফতরের যুগ্ম সচিব। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক লক্ষ্মণ পেরুমলকে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের যুগ্ম সচিব পদ দেওয়া হয়েছে। কালিংম্পঙের অতিরিক্ত জেলাশাসক শিরিং ভুটিয়াকে আনা হয়েছে জিএসটির বিশেষ সচিব (শিলিগুড়ি) পদে।
এ ছাড়া চার আইএএস আধিকারিককে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দফতরের ১০ আধিকারিককে ওএসডি পদ থেকে মহকুমাশাসকের পদে পাঠানো হয়েছে। শেখ আনসার আহমেদকে কৃষি দফতরের যুগ্ম সচিবের পদ থেকে পাঠানো হয়েছে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলাশাসক পদে। এ ছাড়া, ৩৬৯ জন বিডিওকে বদলি করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের ছ’মাস আগে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি কোনও পদে থাকা আধিকারিকদের রদবদল করা হয়ে থাকে। সেই কারণেই সোম ও মঙ্গলবার রাজ্য প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল ঘটানো হয়েছে।