শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরি খোয়াই বনের হাটে দোলের দিন পর্যটকদের ভিড়। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
এ বছরও বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব করেনি। কিন্তু, দোলের দিন শান্তিনিকেতনে পর্যটক আসায় কোনও ভাটা পড়ল না। বরং অন্যান্য বছরের মতোই ভিড় উপচে পড়ল বোলপুর-শান্তিনিকেতনে।
পরপর ছুটি থাকার সুবাদে শনিবার থেকেই পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করে শান্তিনিকেতন। হোটেলের ঘরের পাশাপাশি বোলপুরগামী ট্রেনের টিকিটেও হাহাকার পড়ে গিয়েছিল গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে। অসংখ্য মানুষ নিজস্ব গাড়ি কিংবা গাড়ি ভাড়া করে শান্তিনিকেতন দোল উৎসব দেখতে হাজির হয়েছিলেন। রবিবার থেকে ভিড় চরমে পৌঁছে যায়। সোমবার লক্ষাধিক লোকের ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শান্তিনিকেতন। দোল উপলক্ষে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে হোটেল-লজ ব্যবসায়ীদেরও।
তবে, বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব না-করায় এবং রবীন্দ্রভবন-সহ আশ্রম চত্বর বন্ধ রাখায় পর্যটকেরা ক্ষোভ জানান। সব চেয়ে বেশি ভিড় এ দিন হয়েছিল সোনাঝুরির হাটে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা থাকলেও বিশেষ লাভ হয়নি। বিশেষ করে শ্যামবাটি ক্যানাল পাড় থেকে খোয়াই হাট যাওয়ার রাস্তায় কার্যত মাছি গলারও জায়গা ছিল না। অনেকটা একই ছবি ছিল শান্তিনিকেতন ফার্স্ট গেট থেকে লজের মোড় পর্যন্ত। সার দিয়ে টোটো ও বিভিন্ন গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে দীর্ঘক্ষণ। যানজটে নাজেহাল হন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দোল উৎসব উপলক্ষে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ প্রশাসন সজাগ থাকায় সব কিছু সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি আমরা।’’