—প্রতীকী ছবি।
শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘এডুকেশন ফাস্ট’ পুস্তিকায় ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকার অভিযোগ আনলেন শিক্ষকদের একাংশ।
তাঁরা জানাচ্ছেন, পুস্তিকায় লেখা ২০১১-১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৯৪। ২০২২-২৩ সালে সেই সংখ্যাটা দেখাচ্ছে ২ লক্ষ ৬ হাজার ৩৮৪। অথচ পুস্তিকার অন্য পাতায় লেখা ২০১১ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ১ লক্ষ ৬৯৭ জন। শিক্ষকদের প্রশ্ন, তা হলে এখন তো ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৯১ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু পুস্তিকা অন্য কথা বলছে। পুস্তিকা অনুযায়ী, মাধ্যমিকে ২০১১-১২ সালে শিক্ষক ছিল ৫১ হাজার ৪৩১ জন। ২০২২-২৩ সালে সেই সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৭১ জন। অথচ পুস্তিকাই বলছে, গত দশ বছরে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে মোট ৪৯ হাজার ১৯৯ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। শিক্ষকদের প্রশ্ন, তা হলে দশ বছরে মাধ্যমিকে ১ লক্ষের বেশি শিক্ষক এল কোথা থেকে? শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকারের কথায়, ‘‘এত অসঙ্গতি থাকবে কেন? এগুলো দ্রুত ঠিক করা দরকার।’’
পুস্তিকাতে উল্লেখ করা ছাত্র শিক্ষকের অনুপাত নিয়েও প্রশ্ন তুলেচেোন নবকুমার। পুস্তিকা বলছে, ২০১১-১২ সালে প্রাথমিকে ছাত্র শিক্ষকের অনুপাত ছিল ৩০:১। সেটা ২০২৩ সালে হয়েছে ২১:১। উচ্চ প্রাথমিকে ২০১১ সালের সেই অনুপাত ৪৮:১ কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ২৪:১। অথচ বাস্তব চিত্র বলছে, গ্রাম বাংলার স্কুলে শিক্ষক অপ্রতুল। ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত বাড়ছে। সেখানে এই পরিসংখ্যান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই বইতে তথ্যগত কোনও অসঙ্গতি থাকার কথা নয়।’’