প্রতীকী ছবি।
ভাগ্যিস মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তাই তো বাড়িতে পাকা শৌচাগার পেল বীরভূমের কদমপুর গ্রামের কাদের মল্লিকের পরিবার। বিয়ের দেখাশোনা করতে ঝাড়খণ্ড থেকে মুরারই ১ ব্লকের কদমপুরে এসেছিলেন পাত্র। অন্য সব কথা পাকা হলেও পাত্র আপত্তি তোলেন পাত্রীর বাড়িতে শৌচাগার না থাকা নিয়ে। জানিয়ে দেন, শৌচাগার হলে তবেই বিয়ে করবেন। এ জন্য পঞ্চায়েতে আবেদনের পরামর্শও দেন। পাত্রের কথায় আবেদন করার পরেই শৌচাগার বানিয়ে দেয় ব্লক প্রশাসন। শনিবার সেই কাজ শেষ হয়েছে। এখন বিয়েতেও বাধা নেই।
দিন পনেরো আগে পেশায় দর্জি কাদের মল্লিকের বাড়িতে, তাঁর মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথা বলতে আসেন ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার বাসিন্দা পেশায় রং, দেওয়াল লিখনের কাজ করা এক যুবকের পরিবার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবক বলেন, ‘‘শৌচাগার না থাকা মেয়েদের সম্মান ও স্বাস্থ্য— দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকর। বাড়িতে শৌচালয় না থাকলে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা থাকে। নিজের হবু স্ত্রী, পরিবার এমন অবস্থায় থাকবেন তা মানতে পারিনি। তাই বলে দিই, শৌচাগার তৈরি করলে তবেই বিয়ে। প্রশাসনে আবেদন করতে বলি।’’
বৃহস্পতিবার তাঁরা আবেদন করার পরেই তড়িঘড়ি শৌচাগার নির্মাণ করে দেয় প্রশাসন। মেয়ের মা নাসিমা বিবি বলেন, ‘‘শৌচাগার নির্মাণের টাকা আমাদের নেই। প্রশাসন যে শৌচাগার নির্মাণ করে দেয় এই বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না।’’