বন দফতর জানিয়েছে, শুশুকটির শরীরে কোনও আঘাত বা ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিজস্ব চিত্র।
বকখালির সৈকত থেকে রবিবার একটি ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন দফতর। ওই ডলফিন বা শুশুকটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫.৩ মিটার। চওড়ায় ৩ মিটারের কাছাকাছি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুশুকটিকে যখন তাঁরা দেখেন, তখন তার একটি চোখ থেকে রক্তাক্ত ছিল। সৈকতের কিছু জায়গাতেও সেই রক্তের দাগ ছিল। যদিও বন দফতর জানিয়েছে, শুশুকটির শরীরে কোনও আঘাত বা ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে কী করে শুশুকটির মৃত্যু হল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে তারা। শুশুকটির দেহ রবিবার সকালে ক্রেনে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
ক্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হয় শুশুকটিকে। নিজস্ব চিত্র।
এই নিয়ে গত এক মাসে দ্বিতীয় বার সুন্দরবন এলাকায় গাঙ্গেয় শুশুকের মৃত্যু হল। গত মাসে কুলতলির পিয়ালি নদীতে মাছের জাল জড়িয়ে একটি শশুক মারা যায়। আর রবিবার সকালে বকখালির লক্ষ্মীপুর সৈকতে মৃত শুশুকটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই বন দফতরের বকখালি রেঞ্জ অফিসে খবর দিয়েছিলেন। সেখানকার কর্মীরা এসে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, শুশুকটি পূর্ণবয়স্ক। তবে কী ভাবে সেটি সৈকতে এল এবং কেনই বা জলে ফিরে যেতে পারল না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিদেশে শুশুকদের সৈকতে এসে 'আত্মহত্যা'র ঘটনা বহু বার সামনে এসেছে। যদিও এ ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অনুমান, জোয়ারের সময় শুশুকটি সমুদ্রতটে চলে আসার পর আর ফিরতে পারেনি বলেই মৃত্যু হয়েছে তার। তবে বন দফতর জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।