Fake Call Center

ভুয়ো কল সেন্টার, সিআইডিতে যাবেন দম্পতি

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট চত্বর থেকে দু’জনকে পাকড়াও করেন তাঁরা। তাতে প্রবল উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৩ ০৭:১১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পুলিশের কাছে এই স্বামী-স্ত্রীর নামে সাইবার জালিয়াতির অভিযোগ নতুন নয়। তবে এত দিন তাঁদের ‘খোঁজই’ পাচ্ছিল না সিআইডি। সম্প্রতি ইডি ওই দম্পতিকে তলব করেছিল। তার পরেই হুড়োহুড়ি করে কুণাল গুপ্ত এবং নন্দিনী গুপ্ত নামে ওই দু’জনকে পাকড়াও করতে নামেন রাজ্যের গোয়েন্দারা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট চত্বর থেকে দু’জনকে পাকড়াও করেন তাঁরা। তাতে প্রবল উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ভবানী ভবনের খবর, তার পরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই দু’জনকে গ্রেফতার না করে ছেড়ে দেয় সিআইডি।

শুক্রবার আদালতে গুপ্ত দম্পতির আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলদের ছেড়ে দিয়েছে সিআইডি। তাঁরা আদালতে আছেন। শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের সিআইডি তলব করেছে। রাজ্যের কৌঁসুলিও জানান, কোর্টের ‘সম্মান রক্ষার্থে’ অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

তবে সিআইডি-র আচরণ যে ঠিক নয় তা এ দিনও বিচারপতির কথায় উঠে এসেছে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সিআইডির আচরণে কোর্ট বিস্মিত হয়েছিল। কোন গেটের সামনে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা নিয়েও বিতর্ক আছে।

সিআইডির খবর, ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা সংক্রান্ত চক্রের তদন্তে নেমে ওই দম্পতির কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এই ধরনের কল সেন্টার খুলে মোবাইলের টাওয়ার বসানো, কম্পিউটারে ভাইরাস সাফ করা ইত্যাদি নানা ছুতোয় প্রায় ১১৭ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ মেলে। ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, কুণাল এবং নন্দিনী, এই চক্রের মাথা। তাহলে এত দিন কেন গ্রেফতার করা হয়নি সেই প্রশ্ন উঠেছে। সিআইডি সূত্রের দাবি, কুণাল এবং নন্দিনী বিদেশে ছিলেন। তাই ধরা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement