—প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার চটকল মামলায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’ (এসএফআইও)। তার ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। সেই এফআইআরের সূত্রেই তদন্ত করবে এসএফআইও এবং ইডি।
বৃহস্পতিবারই ওই চটকলের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ)-এর টাকা নয়ছয় নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এজলাসে উপস্থিত এসএফআইও-র দুই অফিসারকে তদন্তকারী হিসেবে নিয়োগ করেছেন তিনি। পরের শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি। সে দিন ইডি এবং এসএফআইও-কে রিপোর্ট দিতে হবে।
এ দিনই চটকল কর্তৃপক্ষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানি এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের খবর, এই মামলায় সংস্থার পাঁচ ডিরেক্টর বৃহস্পতিবার কোর্টে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের হাই কোর্টের শেরিফের হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। তদন্তকারীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করলে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ফের কোর্টে বসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশে অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়ে পাঁচ জনকে ছেড়ে দেন।
এ দিন দুপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এসএফআইও জানায়, তারা হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ কোর্টের নির্দেশ দেখে এফআইআর করবে। এর পরেই বিচারপতি হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে তলব করেন। প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য এসএফআইও এক দিন সময় চেয়েছিল। বিচারপতি জানান, ১০ মিনিটের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। এসএফআইও রিপোর্ট দেয় এবং জানায়, পুলিশ এফআইআর করেছে। বিচারপতি জানান, এফআইআর হয়ে গেলে ওসি-র হাজিরার দরকার নেই। সেই নির্দেশ পাওয়ার আগেই ওসি হাজির হন।
ওসি-র উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রায় ২১ কোটি টাকার পিএফ বকেয়া। শক্ত হাতে কাজ করুন। এ ক্ষেত্রে আপনারা ভাল কাজ করেছেন।’’ বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘লক্ষ্য করেছি, যেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তি যুক্ত থাকেন না, সেখানে তিন দিনে কাজ হয়। রাজনৈতিক ব্যক্তি যুক্ত থাকলেই সময় লাগে।’’