—প্রতীকী ছবি।
পরপর তিনটি সরকারি বাসে তাঁকে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। চতুর্থটিতে অবশ্য তিনি উঠে পড়েছিলেন। কিন্তু সেই ‘অপরাধে’ তাঁর ক্রাচ ও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ উঠেছে বাস কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। সোমবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থেকে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি আসার পথে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে দাবি করলেন সুবীর রায় নামে বিশেষ ভাবে সক্ষম ওই ব্যক্তি। এর মধ্যেই তিনি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যানের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েও সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান তিনি।
নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় পুরো ঘটনাটিকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে অভিযুক্ত কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
সুবীর জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির শালবাড়ির জুড়াপানি গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে পথ দুর্ঘটনায় দু’টি পা জখম হয়ে অকেজো হয়ে পড়ে তাঁর। ক্রাচে ভর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাঁকে। প্রতিবন্ধী শংসাপত্র ও প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রও রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘প্রায়ই সরকারি বাসে উঠতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। এ দিনও চতুর্থ বাসটিতে যখন জোর করে উঠি, তার পরে বাসের কন্ডাক্টর আমার ক্রাচ ও প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র কেড়ে রাখেন। অনেক বার বলা সত্ত্বেও তিনি ফেরত দেননি।’’
ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাঁর অভিযোগ জমা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সুবীর। ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা বলেন, ‘‘দফতরের বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে আছি। কোনও মন্তব্য করব না।’’ জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবহালকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে সব জানার পরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। এমন অমানবিক আচরণ কখনও মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত কন্ডাক্টরকে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’