ভর্তি নিউদিঘার সেভেন-ডি থিয়েটার। নিজস্ব চিত্র
বিশেষ চশমা পরে পর্দায় চোখ রেখেই মনে হবে আপনি রয়েছেন সমুদ্রের তলদেশে। চারপাশে জলজ গাছগাছালি। রকমারি রঙিন মাছ, সাপ, কুমীর গা ঘেঁষে চলে যাচ্ছে।
সৈকত সুন্দরী দিঘাতেই এ বার এই অভিজ্ঞতা হবে পর্যটকদের। সৌজন্যে ‘সেভেন ডায়মেনশনাল’ (সেভেন-ডি) শো। নিউ দিঘায় ‘দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদে’র নতুন প্রশাসনিক ভবন ‘জাহাজ বাড়ি’র মাল্টি ডায়মেনশনাল থিয়েটারে শনিবার থেকে চালু হয়েছে এই সেভেন-ডি শো।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রের খবর, একটি বেসরকারি সংস্থাকে ওই শো চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতিদিনই ২৫ মিনিট অন্তর হবে শো। প্রতিটি শো ১৫ মিনিটের। এক সঙ্গে ২৪ জন থিয়েটারে ঢুকতে পারবেন। প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা। এ ছাড়া, কারও জন্মদিন থাকলেও বিশেষ ছাড় মিলবে।
সেভেন-ডি শো চালুর কথা জানাতে ইতিমধ্যেই মাইকে করে প্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রথম দিনের শো ছিল ভিড়ে ঠাসা। বেশিরভাগই দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটক। প্রথম শো দেখতে সপরিবার এসেছিলেন খড়দহের বাসিন্দা সোনালী রায়। তিনি বলেন, “শো দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, আমরা সমুদ্রের একেবারে নীচে চলে গিয়েছি। মাছ, অন্য জীবজন্তু আমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। একটি বিশাল সাপ দেখে তো ছোটরা ভয়ে চিৎকার করে উঠেছিল। দারুণ অভিজ্ঞতা।’’ আর এক পর্যটক মিঠু রায়ের কথায়, “আগে কখনও সেভেন-ডি শো দেখিনি। খুব ভাল লেগেছে। ছোট থেকে বড় সকলেই উপভোগ করতে পারবেন।’’
শীঘ্রই এই সেভেন-ডি থিয়েটার দিঘার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে বলে একপ্রকার নিশ্চিত উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের তরফে সুভাষব্রত গোস্বামী বলেন, “পর্যটকেরা এই শো দেখতে দেখতে কল্পনার জগতে হারিয়ে যাবেন। কোনও স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষ এই শো শিক্ষার্থীদের দেখাতে চাইলে, আমাদের সঙ্গে আগাম যোগাযোগ করতে পারেন। রাজ্যের কোনও পর্যটনকেন্দ্রে প্রথমবার এমন শো চালু হল।’’