সমতলের সঙ্গে পাহাড়েও সংক্রমণ বাড়তে পারে ছবি পিটিআই।
বছরের শুরুতেই পাহাড়ের পর্যটনে এ বার করোনার থাবা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দার্জিলিঙে ঘুরতে আসা সাত জন পর্যটক করোনায় আক্রান্ত বলে রিপোর্ট এসেছে। ওই সাত জনের মধ্যে দু’জন ব্রিটেন থেকে এসেছেন। এক জন কলকাতার, বাকি চার জন বনগাঁ লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা।
গত সোমবার এবং মঙ্গলবার মিলিয়ে দার্জিলিং সদরের ১২০ জন সন্দেহভাজন, অসুস্থদের পরীক্ষা করানো হয়। এর মধ্যে ১৬ জনের পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। এঁদের মধ্যে সাত জনই পর্যটক। রয়েছেন এক জন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার আধিকারিকও। আক্রান্ত সকলকেই নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। আক্রান্ত ওই আধিকারিক হোম আইসোলেশনে আছেন। এই আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন, তা চিহ্নিত করে পরীক্ষা করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এঁদের সংক্রমণ ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের মাধ্যমে কি না, তা জানতে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করানো হচ্ছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম এ দিন বলেছেন, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা সবাইকে সতর্ক, সচেতন করা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দিচ্ছি।’’ বৃহস্পতিবার দার্জিলিং সদরের আক্রান্তের সংখ্যা ২১ জন।
দু’বছর আগে করোনা সংক্রমণের শুরুতে পাহাড়ে ধাপে ধাপে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছিল। গত বছর পাহাড়ে দু’জন এবং ডুয়ার্সে এক জন করোনা-আক্রান্ত পর্যটকের হদিস মিলেছিল। এ বার সংক্রমণের শুরুতেই সংখ্যাটা সাত। স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা, এ বার সমতলের সঙ্গে পাহাড়েও সংক্রমণ বাড়তে পারে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পাহাড়ে যে সাত জন পর্যটকের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাঁদের মধ্যে ব্রিটেন থেকে আসা দু’জন নেপালি রয়েছেন। তাঁরা বহুদিন ধরেই বিদেশে রয়েছেন। বাকি পাঁচ জন পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসেছেন। শারীরিক সমস্যার জন্য এঁদের দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হয়। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘সংক্রমণ চারদিকে যে ভাবে বাড়ছে তাতে পর্যটক বা সাধারণ বাসিন্দা হিসাবে আলাদা কিছু থাকছে না।’’