প্রতীকী ছবি।
শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় যাওয়ার পথে ‘দেশ কি গদ্দারোঁ কো, গুলি মারো সালোঁ কো’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে বুধবার সকালে-বিকেলে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লালবাজার জানায়, সকালে গ্রেফতার করা হয় উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলার বাসিন্দা প্রশান্ত সরকারকে। ভবানীপুর চক্রবেড়িয়ার বাসিন্দা মুকেশ সিংহকে বিকেলে গ্রেফতার করে নিউ মার্কেট থানা। এই ঘটনায় এ-পর্যন্ত সাত জন গ্রেফতার হলেন।
‘গোলি মারো..’ স্লোগানের বিরুদ্ধে পুলিশি ‘তৎপরতার’ সমালোচনা করে ফেসবুকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে সুমন ভট্টাচার্য নামে বড়জোড়ার এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বাঁকুড়া আদালত তাঁকে জামিন দেয়। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “সমাজমাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট বরদাস্ত করা হবে না।’’
পুলিশ জানায়, মুকেশ পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে হাওড়া স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। মঙ্গলবার ধৃত সন্দীপ সোনকরের সঙ্গে এ দিন প্রশান্তকেও আদালতে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই দু’জনকে দু’দিনের জন্য পুলিশি হাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
রবিবার ধর্মতলায় বিজেপি-সমর্থকদের একাংশ ওই স্লোগান দেওয়ার পরে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে নিউ মার্কেট থানায় মামলা দায়ের করে রাতেই ধ্রুব বসু, পঙ্কজ প্রসাদ ও সুরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সেই মামলায় ধ্রুববাবু জামিন পেলেও পঙ্কজ এবং সুরেন্দ্রের ঠাঁই হয় পুলিশি হেফাজতে। বিচারক এ দিন ফের তাঁদের দু’দিনের জন্য পুলিশি হাজতে পাঠিয়েছেন।