রাজ্য এসে পড়ল করোনার নতুন প্রজাতির কবলে।
করোনার বিদেশি প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় চিন্তিত চিকিৎসকেরা। করোনা রুখতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। এরই মধ্যে এ রাজ্যে ৬ জনের শরীরে ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। তাতেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।
তাঁদের পরামর্শ, বিমানবন্দরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। যাঁরা বিদেশ থেকে আসছেন, তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। আগের মতোই মাস্ক এবং দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। লকডাউন পর্বের মতো প্রশাসনকে কড়া হতে হবে। তাঁদের আশঙ্কা, এ সব না হলে বিপদ বাড়তে পারে।
সামনেই ভোট। রাজনৈতিক মিছিল এবং সভায় দূরত্ববিধি শিকেয় ওঠায় চিন্তায় চিকিৎসকেরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম-এর দাবি, ভোটের প্রচারে স্থান পাক করোনা নিয়ে সচেতনতাও। দূরত্ববিধি নিয়ে নেতানেত্রীদের আরও সচেতন হতে হবে। ভোট চাওয়ার পাশাপাশি করোনার নিয়েও জনগণকে সতর্ক করুন প্রার্থীরা।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, গত শুক্রবার ৪ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনার নতুন বিদেশি প্রজাতি। রবিবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে ৬ হয়েছে। আরও কোনও ব্যক্তি করোনার বিদেশি প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন ব্রিটেনের করোনা নতুন প্রজাতিতে সংক্রমিত। একজন দক্ষিণ আফ্রিকার। এই ছ’জনের মধ্যে ২ জন কলকাতার বাসিন্দা। বাকিরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, রানাঘাট, নদিয়া, মালদহের বাসিন্দা।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী দুবাই এবং দোহা থেকে যে সব উড়ান কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রী নিয়ে পৌঁছচ্ছে, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এমন যাত্রীদের ১১ জন কোভিড পজিটিভ হন। জিনোম সিকোয়েন্স করে জানা যায়, তাঁদের মধ্যে ৬ জন বিদেশি প্রজাতিতে আক্রান্ত।
চিকিৎসক কৌশিক লাহিড়ী বলেন, "ভ্যাকসিন নিতে প্রবীণ মানুষের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। এই ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলিতে করোনা বিধি কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে তো? এই ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলি যেন করোনার হটস্পট না হয়ে দাঁড়ায়!”