সর্বহারা: পুড়েছে ঘর-বাড়ি। সন্দেশখালিতে। ছবি: নির্মল বসু
সন্দেশখালি-কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত জয়নাল মোল্লা-সহ পাঁচ জন। সকলেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।
এক বাড়ির গরু অন্যের বাগানে ঢুকে খড়-বিচালি খাওয়াকে ঘিরে সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে শনিবার যে গোলমালের সূত্রপাত, তা গড়িয়েছিল দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে। নিহত নিজামুদ্দিন মোল্লা ওরফে ময়না নামে এক যুবক। এক বালক-সহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। অগ্নিসংযোগ, লুঠপাট চলে একের পর এক বাড়িতে। বাইক, ধানের গোলার সঙ্গে পোড়ানো হয় গোটা দশেক দোকান। মহিলাদের শ্লীলতাহানিও হয়। এর ২৪ ঘণ্টা পরে, রবিবার পাখিরালয় ও পশ্চিমখণ্ড গ্রাম স্তব্ধ। দোকান বা পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর থেকে তখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। গ্রাম কার্যত পুরুষশূন্য। বারুদের গন্ধ তখনও টাটকা। কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছিল। বোমা খুঁজছিল পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড।
সকালে নিহতের দেহ নিয়ে গ্রামে মিছিল হয়। বিকেলে এলাকায় গিয়ে বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলি জানান, যারা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রবিবার বসিরহাট এসিজেএম আদালত ধৃতদের আট দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।