বানতলায় পাঁচ লক্ষ কাজ হবে, দাবি মমতার

বানতলায় কানপুর, চেন্নাই-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন লগ্নির ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেব্রুয়ারিতে সেই সূত্রে নতুন কিছু শিল্প সংস্থাকে ‘অফার লেটার’ দেয় রাজ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০০:৩০
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বানতলায় বৃহস্পতিবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

গোটা দেশে যখন কাজের সুযোগ কমছে, তখন বাংলায় বেকারত্ব কমছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বানতলা চর্মনগরীতে এক গুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অদূর ভবিষ্যতে এই চর্মনগরীতে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি লগ্নি হবে, কাজ পাবেন প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। পাশাপাশি, দেউচা পাঁচামি খনি প্রকল্পের ছাড়পত্র মেলায় সেখানে ১২ হাজার কোটি টাকার লগ্নি ও এক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি করেন তিনি।

Advertisement

বানতলায় কানপুর, চেন্নাই-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন লগ্নির ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেব্রুয়ারিতে সেই সূত্রে নতুন কিছু শিল্প সংস্থাকে ‘অফার লেটার’ দেয় রাজ্য। এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের জমি বণ্টন, দূষণ হ্রাসের পরিকাঠামো নির্মাণ ও কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘আজ বাংলার গর্বের দিন। সারা ভারতে যখন কর্মসংস্থান কমছে, বাংলায় তখন আমরা অন্তত অনেকটাই প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। দেশে দু’কোটি চাকরি কমলেও আমাদের বেকারত্ব কমেছে ৪০%।’’ বস্তুত, সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় সমীক্ষাতেও রাজ্যে কাজের সুযোগ বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছে।

গো-রক্ষার নামে তাণ্ডবের কারণে বিশেষত হিন্দি বলয়ে সম্প্রতি ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে চর্মশিল্প সংস্থা। তাদের অনেকেই এ রাজ্যে ব্যবসা নিয়ে চলে আসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের বানতলায় ঠাঁই দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের শাসক দলকেই বার্তা দিলেন বলে অনেকের অভিমত। যদিও এ দিনের অনুষ্ঠানে এক বারের জন্যও বিজেপি বা কেন্দ্রের নামোচ্চারণ করেননি তিনি।

Advertisement

মমতা জানান, কানপুরের অনেকে এ রাজ্যে জমি চেয়েছিলেন। রাজ্য সেই আর্জিতে সাড়া দিয়েছে। পাশাপাশি সকলে মিলে এই চর্মনগরীকে রক্ষার বার্তাও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা চাকরি নিয়ে ভাবছেন, বিশ্বাস রাখবেন, ভরসা রাখবেন। আমরা চেষ্টা করছি। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।’’ বানতলায় এর আগে দু’লক্ষ কর্মসংস্থানের কথা বলেছিল রাজ্য। নতুন লগ্নির হাত ধরে তা আরও বাড়বে বলে দাবি করেন তিনি।

মমতা জানান, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তাঁকে এই চর্মনগরীর নতুন নামকরণ করার জন্য বলেছেন। এটি আগামী দিনে বিশ্বের বৃহত্তম চর্মশিল্পের কেন্দ্র হবে, দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী তার নাম দেন, ‘কর্মদিগন্ত’। তাঁর কথায়, ‘‘এটি বিশ্বের চর্মশিল্পের ‘গেটওয়ে’ হবে।’’

১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন সরকারি খাতে বরাদ্দ হ্রাসের জন্য এ দিন কেন্দ্রের সমালোচনা করেন অমিতবাবু। তাঁর আশ্বাস, চর্মশিল্পের রফতানি বাড়াতে লড়াই করবে রাজ্য।

কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের জাতীয় চেয়ারম্যান আকিল আহমেদ ইঙ্গিত দেন, সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক চর্মশিল্প মেলা হবে কলকাতায়।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement