Jungle Mahal

কাশ্মীরের বাহিনী ফিরে পাবে জঙ্গলমহল

গোয়েন্দা দফতর সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে এসে ২০-২৫ জনের একটি দল ৪-৫টি ভাগে ভাগ হয়ে আবার যাতায়াত শুরু করেছে বেলপাহাড়ির দিকে।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

শিবাজী দে সরকার শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৪:১২
Share:

জঙ্গলমহলে ফিরতে চলেছে এমন দৃশ্য?

এক বছর আগে রাজ্য থেকে তুলে নেওয়া পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আবার হাতে পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

গোয়েন্দাদের দাবি, জঙ্গলমহলে আবার আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে মাওবাদীদের। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতেই ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এলাকায় এসে মাওবাদীদের একটি দল বৈঠক করে গিয়েছে বলে রাজ্যের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

রাজ্যের মাওবাদীদের অস্তিত্ব কমে গিয়েছে, এই যুক্তি দেখিয়ে ইতিমধ্যেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে পাল্টা চিঠি দেয় রাজ্য। তার জবাব এখনও এসে পৌঁছয়নি। তবে নবান্ন সূত্রের খবর, এক বছর আগে রাজ্য থেকে যে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী তুলে কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা এ বার ফেরত পাওয়া যাচ্ছে।

Advertisement

এই মুহূর্তে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জুড়ে জঙ্গলমহলে মোট ২৩ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। তার সঙ্গে আরও পাঁচ কোম্পানি যোগ হতে চলেছে। সে ক্ষেত্রে পুরুলিয়া থেকে এক কোম্পানি নাগা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার যে কথা কেন্দ্র জানিয়েছে, সেটা কার্যকর হলেও রাজ্যের দুশ্চিন্তা থাকবে না বলে পুলিশের একাংশ মনে করছেন।

গোয়েন্দা দফতর সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে এসে ২০-২৫ জনের একটি দল ৪-৫টি ভাগে ভাগ হয়ে আবার যাতায়াত শুরু করেছে বেলপাহাড়ির দিকে। জবা মাহাতো নামে এক মাওবাদী নেত্রীর কথাও উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ১৪ অগস্ট রাতে বেলপাহাড়ির একাধিক গ্রামে ঢুকে এই দলটি কালো পতাকা তুলেছে। কোথাও কোথাও নাকি সাদা কাগজে লালকালিতে লেখা পোস্টারও ফেলেছে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তার কথায়, “জঙ্গলমহল শান্ত থাকলেও নজরদারি রাখতেই হবে। প্রথমত, রাজ্যের সীমানার কাছে ঝাড়খণ্ডের চার-পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে ওদের নিত্য আনাগোনা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।’’

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, টংভেদা, শাঁখাভাঙা, পচাপানি, বাঁকশোল, চড়কপাহাড়ি-সহ বেশ কিছু গ্রামে ইদানীং মাঝে মধ্যেই বাইরে থেকে এসে রাতের অন্ধকারে ঢুকছেন মাওবাদী যুবক-যুবতীর দল। সারা রাত গ্রামে কাটিয়ে ভোরের দিকে ফিরে যাচ্ছেন ঝাড়খণ্ডে। এই অবস্থায় পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে নিয়মিত টহলের কাজ চালাতে হবে। নয়তো আবারও অশান্ত হতে পারে জঙ্গলমহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement