ধান রোয়া শুরু। শুক্রবার শালবনির ফার্ম-রোডের কাছে। ছবি: কিংশুক আইচ।
গাঙ্গেয় বঙ্গে খাতায়-কলমে বর্ষা আসার পর এক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু সে ভাবে বৃষ্টি পায়নি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তার জেরে তরতরিয়ে বেড়েছে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ। আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, ১ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত গাঙ্গেয় বঙ্গে বর্ষার ঘাটতির পরিমাণ ৪৯ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধা নতুন নিম্নচাপের জেরে ক’দিন জোরালো বৃষ্টি মিললেও সেই বৃষ্টি কতটা ঘাটতি মেটাবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে আবহবিদ মহলে। তাঁদের অনেকের মতে, এই ক’দিনে যা বৃষ্টি হবে তাতে এত পরিমাণের ঘাটতি মেটা মুশকিল।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিয়েছে। সেটি এ দিন ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছে। সেটি আজ, শনিবার সকালে পুরীর কাছ দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে এবং শক্তি খোয়াবে। এর জেরে আগামী ক’দিন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা সক্রিয় হবে। একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও দিয়েছে তারা। বস্তুত, এ দিন থেকেই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দফায়-দফায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে যেমন টানা বৃষ্টি হয়, এ দিন কলকাতায় তেমন বৃষ্টি হয়নি। বরং এক-একবার মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছে এবং তা থেকেই স্বল্প সময় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামিকাল, রবিবার দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টি হতে পারে। সোমবারও দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।