পাহাড়ে রইল আর ৪ কোম্পানি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দাবি করেছে, পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। সেই দাবিকে হাতিয়ার করেই এ দিন পাহাড় থেকে আধাসেনা সরানোর পক্ষে সওয়াল করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই শুনানির শেষে আরও ৪ কোম্পানি আধাসেনা সরানোর অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে পাহাড়ে এখন রইল আর ৪ কোম্পানি আধাসেনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৩
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দাবি করেছে, পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। সেই দাবিকে হাতিয়ার করেই এ দিন পাহাড় থেকে আধাসেনা সরানোর পক্ষে সওয়াল করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই শুনানির শেষে আরও ৪ কোম্পানি আধাসেনা সরানোর অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে পাহাড়ে এখন রইল আর ৪ কোম্পানি আধাসেনা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত কার হাতে থাকা উচিত— আজ অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সেই বৃহত্তর প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন।

Advertisement

শীর্ষ আদালতের এ দিনের নির্দেশ নিয়ে রাজ্যের তরফে কিছুই বলা হয়নি। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলে রাজ্যের কিছু বলার নেই। তা ছাড়া, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে ভাল টাকা খরচ হয়। এখন রাজ্য নিজস্ব বাহিনী দিয়েই পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা করবে।

পাহাড়ে গোলমালের সময়ে দফায় দফায় মোট ১৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়। এক মাস আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই তার ৭ কোম্পানি সরিয়ে নেওয়া হয়। বাকি ৮ কোম্পানিও তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে এ দিন সওয়াল করে কেন্দ্র।

Advertisement

কিন্তু ডোকলামে ভারত-চিন দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। কেন্দ্র তা অবহেলা করতে পারে না। তাঁর বক্তব্য, ডোকলামে চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘাতের প্রধান কারণই ছিল, সেখানে বাহিনী ঠিক সময় পৌঁছতে পারেনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আগেই ৭ কোম্পানি সরেছে। এ বার আরও বাহিনী সরলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। দার্জিলিং-কালিম্পং-সহ বিরাট এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

এর পাল্টা যুক্তি দিয়ে বেণুগোপাল বলেন, রাজ্য তো নিজেই বলছে পাহাড়ে এখন শান্তি ফিরে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে জাতীয় সড়ক ধরে পণ্য ও জ্বালানি সরবরাহও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তা হলে বাকি বাহিনীও সরিয়ে নেওয়া হবে না কেন?

তবে শেষ অবধি দু’পক্ষের সওয়াল শুনে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র নির্দেশ দেন, কেন্দ্র ৪ কোম্পানি পর্যন্ত বাহিনী তুলে নিতে পারবে। এ বিষয়ে ১৬ জানুয়ারি ফের শুনানি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement