কোহবিহারে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যু। নিজস্ব চিত্র।
একই পরিবারের তিন জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারে। হেডফোন দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় পেশায় কলেজ শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। অন্য ঘর থেকে মিলল স্ত্রী ও সন্তানের মৃতদেহ। আত্মহত্যা না কি খুন? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজের অস্থায়ী শিক্ষক উৎপল বর্মণ স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কোচবিহার শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আদি বাড়ি দিনহাটার গোসানিমারিতে। মঙ্গলবার থেকে ভাড়া বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। ভিতরেই ছিলেন উৎপলরা। বুধবারও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির মালিক দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু সাড়া মেলেনি। এর পরই উৎপলের দিনহাটার গোসানিমারির বাড়িতে খবর যায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, একটি ঘরে ঝুলছে উৎপলের নিথর দেহ। হেডফোনের তার দিয়ে তাঁর হাত বাঁধা ছিল। অন্য একটি ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী ও ৭ বছরের ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
গোটা পরিবার একসঙ্গে আত্মঘাতী, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।