পার্থের জায়গায় এলেন মানস। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব গিয়েছে আগেই। তার পর দলের মহাসচিব পদ, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভাপতি এবং পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। এ বার পার্থের জায়গায় তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়ে আসা হল রাজ্যের প্রবীণ নেতা মানস ভুঁইয়াকে।
মঙ্গলবার মানস নিজেই জানান, আগামী ৪ ডিসেম্বর মৌলালী যুব কেন্দ্রে পঞ্চায়েত স্তরের সরকারি কর্মীদের নিয়ে প্রথম সম্মেলন করবেন তিনি। তার পর ধীরে ধীরে সংগঠনের অন্য নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন।
প্রসঙ্গত, এক সময় তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের মাথায় ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি মন্ত্রিত্ব এবং তৃণমূলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তার পর ওই ইউনিয়নের দায়িত্ব এসে পড়ে তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থের উপর।
এক সময়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া কংগ্রেসে থেকেও তৃণমূলের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েছিলেন। পরে দল বদলে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। প্রবীণ নেতাকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দল। তাঁর স্ত্রীও তৃণমূল বিধায়ক হয়েছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে আবার রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন মানস।
এ বার নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৪ ডিসেম্বর পঞ্চায়েত বিষয়ক বৈঠকে থাকব। তবে এর আগে শুধু দলীয় স্তরে রাজনীতি করেছি। ফেডারেশনের কাজে সাহায্য করেছি, ট্রেড ইউনিয়নের মিটিংয়ে গিয়েছি। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে কোনও সাংগঠনিক কাজ করিনি। এ বার যখন সর্বোচ্চ নেতৃত্ব দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার প্রথম কাজ হবে সক্রিয় সদস্যদের চিহ্নিত করা। তাঁরাই হবেন সংগঠনের হৃৎপিণ্ড।’’