জাতীয় সড়কের পাশে ‘নো-এন্ট্রি’তে দাঁড়িয়ে ছিল গাড়ি। আর সে কথা বলায় ট্রাফিকে কর্মরত দুই সিভিক পুলিশ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বারাসত পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বুধবার বারাসত থানায় ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ওই দুই কর্মী। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ মোতাবেক তদন্ত শুরু হয়েছে।” এ দিন কিছুক্ষণ কাজ বন্ধ করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান বারাসত থানা এলাকার সিভিক পুলিশের অন্য কর্মীরাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে কলোনি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এসে দাঁড়ায় গাড়িটি। গাড়িতে ছিলেন বারাসত পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক। তখন জনবহুল জাতীয় সড়ক থেকে গাড়িটি সরাতে বলেন সেখানে কর্মরত সিভিক পুলিশ কর্মী আকাশ মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমে আকাশের জামার কলার ধরে তাঁকে মারধর করেন অরুণবাবু। আকাশকে বাঁচাতে ছুটে আসেন সিভিক পুলিশকর্মী পার্থ রায়। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে বারাসত থানায় দায়ের করা অভিযোগ জানান ওই দুই কর্মী। অভিযোগে বলা হয়েছে, কেন গাড়ি সরাতে বলা হয়েছে সে প্রশ্নেই দু’জনকে মারধর করেন অরুণবাবু। এ দিন আকাশ বলেন, “উনি এক জন নেতা বুঝতে পেরে আমরা চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম। উনি আমাদের ধাক্কাধাক্কি-মারধর করছিলেন। পুলিশের টুপি মাটিতে ফেলে পা দিয়ে ডলতে-ডলতে গালিগালাজ, অপমান করছিলেন।”
এর পরেই বারাসত থানায় অরুণবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তাঁরা। বারাসত হাসপাতালে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষাও করায় পুলিশ। তবে অরুণবাবু অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। ওখানে রাস্তায় একটি গেটের কাজ দেখতে আমি গাড়িতে যাই। তখন ওই দু’জন আমার চালকের সঙ্গে অসভ্যতা করে। ওরা পুলিশের পোশাকে ছিল না। ওদের বলি, তোমরা যদি সিভিক পুলিশই হও তা হলে পরিচয়পত্র বা সেই পোশাক নেই কেন? কিন্তু ওরাই আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।”