সংঘর্ষে দশ জন ছাত্র জখম

মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে টিএমসিপি -এসএফআই সমর্থকদের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয় পক্ষের ১০ জন। কলেজের এবিভিপি সমর্থকদের দাবি, মনোনয়ন পত্র তুলতে তাঁদের কার্যত কলেজে ঢুকতে দেয়নি টিএমসিপি। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ফলতার সাধনচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফলতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২২
Share:

মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে টিএমসিপি -এসএফআই সমর্থকদের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয় পক্ষের ১০ জন। কলেজের এবিভিপি সমর্থকদের দাবি, মনোনয়ন পত্র তুলতে তাঁদের কার্যত কলেজে ঢুকতে দেয়নি টিএমসিপি। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ফলতার সাধনচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে। আহতদের ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্‌সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এসএফআই এবং টিএমসিপি দু’পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে।

Advertisement

ওই কলেজের ছাত্র সংসদে ৩২টি আসনের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেওয়া শুরু হয়েছে গত শনিবার থেকে। এ দিন সকাল পৌনে বারোটা নাগাদ ওই এলাকার হরিণডাঙা বাজার থেকে এসএফআইয়ের জনা পঞ্চাশ ছাত্র মিছিল করে কলেজের দিকে আসেন। কলেজে ঢোকার আগে টিএমসিপি সমর্থকেরা তাঁদের আটকায়। সেই থেকে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। এসএফআই জোনাল কমিটির সম্পাদক রফিক হালদারের অভিযোগ, “ওদের মারে আমাদের সাত সমর্থক জখম হয়েছেন। ওদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, রড ছিল। ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাই।” এই ঘটনার পরে এসএফআই সমর্থকেরা স্থানীয় নতুন রাস্তার মোড়ের কাছে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন পত্র তোলার দাবি নিয়ে ঘণ্টা খানেক অবরোধ করেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে এর পর অবরোধ ওঠে। মনোনয়ন পত্র তোলা নিয়ে টিএমসিপির বাধার সম্মুখীন হওয়ার একই অভিযোগ তোলেন কলেজের এবিভিপি সমর্থকেরাও। এবিভিপির ফলতার সভাপতি মৃগাঙ্কশেখর মণ্ডল বলেন, “টিএমসিপি বহিরাগতদের নিয়ে তাড়া করলে আমরাও কলেজ ছাড়তে বাধ্য হই। ওদের হাতে অস্ত্র ছিল। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই আন্দোলনে নামব।” কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, “কলেজ প্রাঙ্গণে ঘটনাটি ঘটেনি, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। কয়েকটি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভক্তরাম মণ্ডল এই বিষয়ে বলেন, “কলেজে ঝামেলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement