তখনও চলছে অবরোধ। ছবি: সামসুল হুদা।
কলকতার হাসপাতালে ছেলে ভর্তি। তাকে দেখতে যাচ্ছিলেন ক্যানিংয়ের নোনাঘেরির বাসিন্দা অজয় দাস। হঠাত্ ট্রেন অবরোধে আটকে পড়ায় বিপত্তিতে পড়লেন।
শুধু অজয়বাবু নন। তাঁর মতো অনেক রেলযাত্রীই রবিবার সকালে সঙ্কটে পড়লেন মদন মিত্রের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূলের ডাকা রেল অবরোধের জেরে। এ দিন সকাল ১১টা থেকে আধ ঘণ্টা শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের তালদি স্টেশনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন।
যাত্রীদের একাংশ জানান, ওই স্টেশনে এ দিন ক্যানিং আপ লোকাল আটকে পড়ায় নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন না বুঝে অনেককেই ট্রেন ছেড়ে তালদি বাস স্টপ থেকে অটো, ট্রেকার, বাস, মোটর ভ্যানে রওনা দিতে হয়। যাত্রীদের কেউ কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “কোথাও কিছু হলেই ট্রেন অবরোধ করা হয়। এর ফলে আমাদের হয়রানির একশেষ হয়। কত ক্ষতি হয়ে যায়, কেউ বোঝে না।” তালদির বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী রিঙ্কি প্রামাণিক বলেন, “বাঘাযতীনে পড়তে যাচ্ছিলাম। অবরোধের জন্য আটকে পড়লাম। পড়ার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।”
তালদি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি বন্দন ঘটক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে মিথ্যা চক্রান্ত করে তাঁর মন্ত্রী সভার সদস্য, সাংসদদের অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মানুষকে অসুবিধায় ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তাই সব দিক বিবেচনা করেই অন্যায়ের প্রতিবাদে আজ প্রতীকী রেল অবরোধ করা হয়েছে।” শিয়ালদহের ডিআরএম সুচিত্রা দাস বলেন, “অবরোধের ফলে ট্রেন বাতিল না হলেও দু’টি ট্রেন দেরিতে চলেছে।”