এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পঞ্চায়েতে কাজ হচ্ছে না। পরিষেবা পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। ফলে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং ১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
কেন বন্ধ পঞ্চায়েত?
এই পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের রেবা মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পঞ্চায়েতের তৃণমূলেরই অন্য সদস্যেরা। গত ৩ সেপ্টেম্বর অনাস্থা ভোটে ১৮ জন সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৬ জন। রেবাদেবী হাইকোর্ট থেকে একটি স্থগিতদেশ নিয়ে আসেন। এরপর হাইকোর্ট থেকে মহকুমাশাসক ও বিডিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়, অনাস্থায় ভোটাভুটির ফলাফল যেন এখনই ঘোষণা না করা হয়। প্রধান না থাকায় গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকেই পঞ্চায়েত-সংক্রান্ত সব রকম কাজ বন্ধ। ফলে বার বার অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষকে।
গত ৯ অক্টোবর বিডিও বুদ্ধদেব দাস একটি চিঠি দেন পঞ্চায়েত সচিবকে। তাতে পঞ্চায়েতের বর্তমান দায়িত্ব ১৩ অক্টোবর থেকে উপপ্রধান আদিত্য বৈদ্যকে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সোমবার যখন এই দায়িত্বভার আদিত্যবাবু নিতে আসেন, তখন তিনি জানতে পারেন ওই নির্দেশ আর কার্যকর হবে না। তখন উপপ্রধান ও গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিডিও সেখানে এলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। গ্রামবাসীরা জানতে চান, কেন এই সিদ্ধান্ত বদল হল।
বুদ্ধদেববাবু বলেন, “সোমবার সকালে হাইকোর্ট থেকে আমার কাছে একটি চিঠি আসে। তাতে জানানো হয়, আমি যদি এই প্রক্রিয়া চালু করি, তা হলে আমার নামে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে। তাই সিদ্ধাম্ত বদলাতে আমি বাধ্য হই।” এ দিকে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, অবিলম্বে কাজকর্ম চালুর ব্যবস্থা না করলে পঞ্চায়েতে তালা মেরে দেওয়া হবে। আদিত্যবাবু বলেন, “সব কিছু না জেনে তা হলে আমাকে এই অর্ডারটি দেওয়া হয়েছিল কেন?” পরে ক্যানিং থানার ওসি সতীনাথ চট্টরাজ এসে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।