আর মাত্র দু’দিন। সারা বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দুর্গা পুজো দোর গোড়ায়। চার দিকে শেষবেলার পুজোর প্রস্তুতি চলছে। দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। কিন্তু এত আনন্দের মধ্যেও অন্ধকার কাটছে না ক্যানিং মহকুমার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মনে। তাঁদের পুজোর আগে তাঁদের মাসিক ভাতা তো আসেইনি, সেই সঙ্গে পাননি পুজোর বোনাস। হতাশ কর্মীদের অভিযোগ, “সামান্য টাকা আমরা মাসিক ভাতা পাই। প্রতি বছর পুজোর আগে সরকার আমাদের কিছু টাকা বোনাস দেয়। সব মিলিয়ে তাতেই আমাদের চলে। উত্সবও কাটে। বর্তমান সরকারের সে সব দিকে কোনও নজরই নেই। এ দিকে নানা উত্সব নিয়ে তারা ব্যস্ত।”
ক্যানিং-১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সংগঠনের সভাপতি মন্দিরা রায়চৌধুরী বলেন, “পুজোর আগে মাসিক ভাতা ও বোনাস না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। ব্লক এলাকার কর্মীরা বারবার জানতে চাইছেন কবে টাকা পাওয়া যাবে। এ নিয়ে বহু বার জিডিপিও-কে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।” জিডিপিও অরবিন্দ মণ্ডল অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “এ বিষয়ে যা জানানোর, জেলাতে জানিয়েছি।”
জেলার প্রজেক্ট অফিসার (ডিপিও) তুষার চট্টোপাধ্যায়, “পুজোর আগে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই সমস্যা শুধু ক্যানিং মহকুমার নয়। গোটা জেলাতেই এক অবস্থা। আমরা টাকা না পাওয়ায় কর্মীদের ভাতা ও বোনাস দিতে পারিনি। উপরতলায় জানিয়েছি। ট্রেজারিতেও বলেছি যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়।”
উত্সবের মুখে বন্ধ এটিএম
নিজস্ব প্রতিনিধি • ডায়মন্ড হারবার
শহরে ৭টি এটিএম কাউন্টার। পুজোর মুখে ৬টিই অকেজো হয়ে বসে রয়েছে। সপ্তাহ খানেক ধরে এই পরিস্থিতিতে জেরবার ডায়মন্ড হারবারের মানুষ। এটিএমের খোঁজে ছুটতে হচ্ছে শহরের বাইরে। কোথাও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এটিএম রঙ করাতে ব্যস্ত। কোথাও আবার স্রেফ লাইন বসে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। পুজোর মধ্যেও সমস্যার সুরাহা হবে কিনা, তা ভেবেই দিশাহার ডায়মন্ড হারবারের মানুষ। কবে মিটবে সমস্যা, সদুত্তর মেলেনি অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও।