বিজেপি-র অন্দরে ’১৬ এবং ’১৯-এর বিভ্রান্তি কাটাতে আসরে নামতে হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকেও।
উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৬টি সাংগঠনিক জেলার সঙ্গে শুক্রবার কলকাতায় মাহেশ্বরী ভবনে বৈঠক করেন এ রাজ্যে দলের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্মলা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ মঙ্গলবার হাওড়ার শরৎ সদনে বৈঠকে বলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যেমন ছিল লখনউ, তেমনই ২০১৯-র লোকসভা ভোটে কলকাতা থেকে দলের বিজয়রথ চালু করতে হবে। যা থেকে বিজেপির অন্দরে-বাইরে জল্পনা তৈরি হয়— নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও তৃণমূলের সঙ্গে নৈকট্যের বাতাবরণ বুঝে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনকে আর পাখির চোখ করতে বলছেন না অমিত। এই জল্পনায় দলের ক্ষতি হচ্ছে বুঝে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পরে ব্যাখ্যা দেন, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে হারানোর লক্ষ্য থেকে সরতে অমিত তাঁদের বলেননি। দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন নির্মলার সঙ্গে বৈঠকেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক ব্লক নেতা ’১৬ এবং ’১৯-র সংশয় কাটানোর জন্য নির্মলাকে অনুরোধ করেন। নির্মলা তখন সাফ জানান, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের সমঝোতার প্রশ্নই নেই। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে ভাল লড়াই করতে হবে। যদিও ’১৬-’১৯ নিয়ে বিতর্কে তাঁর মত জানতে চাওয়া হলে নির্মলা বলেন, ‘‘সভাপতি যা বলেছেন, তার উপরে আমি আর কী বলব?’’
বৈঠকে ‘মহাসম্পর্ক অভিযান’-র অগ্রগতি নিয়ে জানতে চান নির্মলা। মহিলা সদস্যদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তাঁরা দলের কর্মী বলে পরিচয় দিলে দলের একাংশ তাঁদের ‘মহিলা মোর্চা’ বলে গুরুত্ব কমানোর চেষ্টা করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘মহাসম্পর্ক অভিযান শেষ হলে আমাদের দলের চেহারা পাল্টে যাবে। মহাসম্পর্কের পর মহারণে নামব আমরা। তখন বাঁচাও বাঁচাও বলা ছাড়া তৃণমূলের উপায় থাকবে না।’’