টুকরো খবর

গ্রাম্য বিবাদের জেরে বুধবার গুলি, বোমা চলল মিনাখাঁর চাপালির নুরপুর গ্রামে। জখম মহিলা ও শিশু-সহ বারো জনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সাবুর আলি মণ্ডল নামে গুরুতর আহত এক গ্রামবাসীকে পরে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৪ ০০:৫৯
Share:

গ্রাম্য বিবাদে গুলি-বোমা চলল মিনাখাঁয়

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

গ্রাম্য বিবাদের জেরে বুধবার গুলি, বোমা চলল মিনাখাঁর চাপালির নুরপুর গ্রামে। জখম মহিলা ও শিশু-সহ বারো জনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সাবুর আলি মণ্ডল নামে গুরুতর আহত এক গ্রামবাসীকে পরে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নুরপুর গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে দুই যুবক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করলে তার স্বামী প্রতিবাদ করে। দু’পক্ষের বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। গ্রামের প্রবীণরা তা মীমাংসার চেষ্টা করলে ওই যুবকেরা তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এর পরে বুধবার রাত ৮টা নাগাদ ২৫-৩০ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে, বোমা ফাটাতে ফাটাতে গ্রামে ঢোকে। আগের দিন যারা আলোচনায় ছিল, তাদের বাড়ি বাড়ি চড়াও হয়। মারধর, লুঠপাট চলে। বাধা দিতে গেলে মার খায় মহিলা এবং শিশুরাও। সেই সময়ে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি গিয়ে লাগে সাবুর আলির ঘাড়ে। আহত কুলচন বিবি, আনোয়ারা বিবি বলেন, ‘‘ওই বিষয়টি নিয়ে বাড়ির পুরুষেরা আলোচনা করেছিল। সেই জন্য দুষ্কৃতীরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে বাঁশ, রড দিয়ে আমাদের পেটায়।’’ সাবুর আলির দাবি, “দু’তিন রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রামে পুলিশি টহল শুরু হয়েছে।

Advertisement

নির্মল বিদ্যালয় অভিযান দিবস

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট


মিছিল বসিরহাটে। —নিজস্ব চিত্র।

‘নির্মল বিদ্যালয় অভিযান’ দিবস হিসাবে পালিত হল বসিরহাটে। বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাট টাউন প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিসিএম গার্লস প্রাইমারি স্কুল এবং জিএসএফপি স্কুলের পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষিকারা শহর পরিক্রমা করেন। গত ৭ জুলাই থেকে পালিত হচ্ছে নির্মল বিদ্যালয় অভিযান দিবস। চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণ, ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সুনিশ্চিত করা এবং এলাকার সার্বিক পরিচ্ছন্নতা রক্ষার জন্যই এই প্রকল্প। ছয় থেকে চোদ্দো বছর বয়সী সব শিশুকে স্কুলের আওতায় আনা, স্কুলে পর্যাপ্ত পানীয় জল ও উপযুক্ত পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলি নিয়ে লেখা প্ল্যাকার্ডগুলি হাতে নিয়ে এলাকা পরিক্রমা করে শিশুরা। তাদের সঙ্গে পা মেলান অভিভাবকেরা। উদ্যোক্তাদের তরফে পিসিএম গার্লস প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস চক্রবর্তী জানান, ১২ জুলাই মহকুমার সমস্ত প্রাথমিক স্কুলগুলির পড়ুয়াদের নিয়ে দুই বিভাগে আঁকার প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বেপরোয়া দুই বাইকে ধাক্কা, মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মোটরবাইকের ভাঙা অংশ। পাশে ছোপ ছোপ রক্ত। এখানে-ওখানে পড়ে আছে জুতোর পাটি। মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়া দৌড়ে নেমে প্রাণ দিয়ে মাসুল গুনতে হল এক কিশোরকে। অন্য দুই কিশোর লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে খিদিরপুরে ডায়মন্ড হারবার রোডে তীব্র গতিতে মুখোমুখি এসে পড়ে দু’টি মোটরবাইক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে পরস্পরকে। মারা যায় একটি মোটরবাইকের চালক আসিম কামাল খান (১৭)। তার বাড়ি সুধীর ঘোষ লেনে। আসিমের সঙ্গী আদনান আহমেদ এবং অন্য মোটরবাইকের চালক আহত রামচন্দ্র সোয়েন নামে এক কিশোর গুরুতর আহত হয়। পুলিশি সূত্রের খবর, মোটরবাইক দু’টি রাস্তার দু’টি লেনে দৌড়চ্ছিল। মাঝখানে লোহার রেলিং আছে। কিন্তু সেন্ট টমাস স্কুলের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’টি মোটরবাইক রাস্তা পারাপারের ফাঁক দিয়ে মুখোমুখি এসে পড়ে। ছিটকে পড়ে তিন জনেই। বিকট আওয়াজে ভিড় জমে যায়। একটি মোটরসাইকেলের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। বেপরোয়া বাইক-দৌড়ের এই পরিণামের পরে প্রশ্ন উঠেছে, তিন নাবালক মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বেরোল কী ভাবে? তাদের যে হেলমেট নেই, পুলিশ সেটা দেখেনি কেন? আলাদা লেন থেকে তারা একই লেনে কী ভাবে ঢুকে পড়ল? পুলিশ জানিয়েছে, সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তার বাড়িতে। বুধবার সন্ধ্যায় দেগঙ্গার পূর্ব চাংদানা গ্রামের সুকান্তপল্লির ঘটনা। মৃতার নাম রিনা মণ্ডল (১৯)। স্থানীয় বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সম্প্রতি বিয়ে ঠিক হয়েছিল রিনার। বুধবার বিকেলে তাকে বাড়িতে রেখে তার মা-ভাই বিয়ের কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন।

গোপালনগরের আদিত্যপুর গ্রামে চলছে তিল চাষ। —নিজস্ব চিত্র।

জীবন সংগ্রাম। সুন্দরবনের নদী থেকে মাছ ধরছেন দম্পতি। ছবিটি তুলেছেন নির্মল বসু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement