তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ঢোলাহাটে জখম ১০
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঢোলাহাট
জমির দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষে জখম হল উভয় পক্ষের ১০ জন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঢোলাহাটের গুরুদাসপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বনমালী গুড়িয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী নুরবক্স মোল্লার জমির দখল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গোলমাল চলছে। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তৃণমূল কর্মী বনমালী বাড়ি-লাগোয়া নিজের পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সে সময়ে বিজেপি সমর্থক নুরবক্সের দলবল তাঁর উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষের। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে পুকুর পাড়-লাগোয়া একটি খড়ের চালের কুড়ে ঘরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটুর দাবি, তাঁদের দলের এক সমর্থকের বাড়িতে তৃণমূলের বাহিনী হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাঁচ জন সমর্থক জখম হয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা। তাঁর বক্তব্য, বনমালীর জমিতে জোর করে দখল করে কুঁড়ে ঘর বানিয়েছিল বতর্মানে বিজেপি নামধারী সিপিএম। তারা নিজেরাই কুঁড়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজানোর চেষ্টা করছে।” বিজেপির আক্রমণে তাঁদের দলের কয়েক জন জখম হয়েছেন বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাপসকে গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং
বনগাঁয় পুড়ছে কুশপুতুল। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল ও বিরাটি কলেজের ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হলেন ক্যানিংয়ের বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। মঙ্গলবার সকালে ক্যানিংয়ের রেলমাঠ থেকে দলের প্রায় ৩০০ জন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফ্লেক্স নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। স্থানীয় এলাকা পরিক্রমার পরে তাঁরা ক্যানিংয়ের বিডিও অফিসের সামনে হাজির হন। ক্যানিং-বারুইপুর রোডও অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। ক্যানিং-১ ব্লক বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় বলেন, “একজন জন-প্রতিনিধি হয়ে তাপস পাল যে ভাবে প্ররোচনামূলক কথা জনসমক্ষে বলেছেন, সে জন্য তাঁকে শাস্তি পেতে হবে।” তাঁর আরও অভিযোগ, শুধুমাত্র শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকার জন্য সৌরভ চৌধুরীর খুনে মূল আসামী শ্যামলের মতো অভিযুক্তেরা বার বার ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সব দেখেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের জন্যও সরব হয়েছে বিজেপি। দোষীদের শাস্তি না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্যানিংয়ের বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
বধূ খুনে গ্রেফতার শ্বশুর ও শাশুড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঢোলাহাট
মেয়ের গায়ের রং শ্যামলা। বিয়ের সময় যৌতুকের জিনিসপত্রও ভাল দেওয়া হয়নি। তারই জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের উপরে অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। সোমবার বিকেলে ঢোলাহাটের মৃণালনগর গ্রামের কমলা দাস (১৯) নামে ওই বধূ খুন করা হয় বলে অভিযোগ। কমলার শ্বশুর তারাপদ ও শ্বাশুড়ি পুষ্পকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেলহাজতের নিদের্শ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে কাকদ্বীপের ১২ নম্বর গোড়া পালেরচকের কমলার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে প্রবীর দাসের। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। মেয়ের বাড়ি থেকে বিয়েতে দেওয়া আংটি ফের নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয়। তাতেও অত্যাচার কমেনি। সোমবার বিকালে শ্বশুরবাড়ির এক প্রতিবেশী ফোনে কমলার বাপের বাড়িতে বিপদের খবর দেন। ওই তরুণীর দাদা সুব্রত পাঁজা জানান, বোনের গায়ের রং কালো বলে শ্বশুরবাড়ির পছন্দ হয়নি। বোন নিজেই সে কথা আমাদের জানিয়েছিল। জামাই বিয়ের পরে কয়েক মাস বাদে কাজের সূত্রে কেরল চলে যায়। সোমবার রাতে বোনের শ্বশুর, শ্বাশুড়ি-সহ কয়েক জন মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ সুব্রতর। পুলিশের অনুমান, ওই বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। একটি খুনের মামলা রুজু করে দেহ ময়না-তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অথর্লগ্ন সংস্থার এমডি গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার
অথর্লগ্নি সংস্থার এক ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে সরিষা থেকে স্বপন ঘরামি নামে ওই আধিকারিক ও শঙ্কর হালদার ধরা পড়েন। দু’জনকে মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ৭ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের সরিষা মোড়ের কাছে ‘নবজীবন’ নামে একটি অথর্লগ্নি অফিস ছিল। সারদা-কাণ্ডের পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রতারণার অভিযোগ করেন এক আমানতকারী।
গরুর দৌড় প্রতিযোগিতা ক্যানিংয়ের গ্রামে। মঙ্গলবার ছবিটি তুলেছেন সামসুল হুদা।
মুখ্যমন্ত্রীর সভা উপলক্ষে লোকসভা ভোটের আগে ভাঙা পড়েছিল বনগাঁ স্টেডিয়ামের
এই ফেন্সিং। সারানো হয়নি এত দিনেও। আনন্দবাজারে সেই ছবি প্রকাশিত হওয়ার
পড়ে নড়ে বসল প্রশাসন। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।