টুকরো খবর

গণধর্ষণের ঘটনায় ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত। গত ২৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বছর আঠারোর এক তরুণী বধূকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি মামার বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৪ ০২:০৫
Share:

গণধর্ষণে ধৃত মূল অভিযুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা

Advertisement

গণধর্ষণের ঘটনায় ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত। গত ২৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বছর আঠারোর এক তরুণী বধূকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি মামার বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন। দুপুরের দিকে গাঁড়াপোতা বাজারে অটো থেকে নামার পরে অনুপ রায় ওরফে অমিত আর তিন শাগরেদ ওই তরুণীর হাত-মুখ বেঁধে একটি গাড়িতে তুলে নেয়। তার পরে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

ধৃত অমিত। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

Advertisement

নদিয়ার গাংনাপুরের বিষ্ণুপুর থেকে মেয়েটিকে বিকেলেই উদ্ধার করা হয়। গণধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান কালীপদ মণ্ডল সালিশি বসান বলেও অভিযোগ করেছিলেন মেয়ের বাবা। পরে বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। পুলিশকে দেওয়া বয়ান অবশ্য শনিবার পুরোপুরি বদলে ফেলেন তরুণীর বাবা। জানান, মেয়ের সম্মান রাখতে কালীপদবাবুকে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটমাট করতে বলেছিলেন তিনি-ই। উপপ্রধানই তাঁদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। তদন্তে নেমে পুলিশ শনিবার রাতে চরমণ্ডল গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে অমিতকে। রবিবার বনগাঁ আদালতের বিচারক ধৃতকে ৬ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

তাপসের মন্তব্যে নিন্দা পবিত্রের

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

নাগরিক কনভেনশনে এসে তাপস পালের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেন পবিত্র সরকার। রবিবার বসিরহাটের টাউন হলে ওই কনভেনশনে তিনি বলেন, ‘‘ছেলেদের বাড়িতে ঢুকিয়ে রেপ করা হবে বলে তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল যে হুমকি দিয়েছেন, তা যুব সমাজের কাছেও লজ্জার। তৃণমূলের যুব সমাজের আত্মসম্মানবোধ থাকলে তারাও একজন সাংসদের এমন কথায় অপমানিত বোধ করবেন।’’ এ দিন বিকেলে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন আজিজুল হক, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, চন্দন সেন প্রমুখ। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশমন্ত্রীও। তিনি যেভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাতে দলের কর্মীরা বুঝে গিয়েছে, আমাদের কেউ সাজা দেওয়ার নেই। মুখ্যমন্ত্রী হিটলার, মুসোলিনি, ফ্রাঙ্কোদের মত চলছেন। তাকে বুদ্ধি দেওয়ার কেউ নেই, তিনি কারও কথা শুনতেও রাজি নন। এ ভাবে চলতে থাকলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।’’

লরির ধাক্কায় মৃত্যু, অবরোধ সংগ্রামপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। পুলিশ জানায়, তাঁর নাম শেখ আব্দুর রজ্জাক (৩৬)। বাড়ি সংগ্রামপুরে। আহত একজনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার দুপুরে বসিরহাটের ইছামতী সেতুর উপর ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে বসিরহাট থেকে জিনিসপত্র কিনে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর পরেই ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ইছামতী সেতুর উপর বাস, লরি, ট্রেকার, অটো, রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। এতে সরু রাস্তায় দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে। সেতুটিরও ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। লরির চালককে গ্রেফতার, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং সেতুর উপরে গাড়ি রাখা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।

ডাকাতির দায়ে যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

এক ব্যবসয়ীর দোকানে ডাকাতি এবং গুলি ছোড়ার অভিযোগে শনিবার এক দুষ্কৃতীকে দশ বছর কারাদণ্ড এবং দু’হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাস জেলহাজতের নির্দেশ দিলেন বসিরহাটের ফাস্ট ট্রাক থ্রি আদালতের বিচারক। পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালের ৬ জুন সন্ধ্যায় ৬-৭জনের একটি দুষ্কৃতী দল হাসনাবাদের একটি বিল্ডার্সের দোকানে হামলা চালায়। লুঠপাট চালানোর পর দুষ্কৃতীরা অপরেশ পাল নামে ওই ব্যবসায়ীর উদ্দেশে গুলি ছুড়লে তা ব্যবসায়ীর এক আত্মীয়ের গায়ে লাগে। জনতা তাড়া করে আজগার মোল্লা নামের ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। তার সঙ্গীরা পালায়। আজগারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারক আজগার মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

বিজেপিকে রুখতে বার্তা গৌতমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

তৃণমূলকে বুঝে নেওয়া যাবে, কিন্তু বিজেপিকে আটকাতে হবে রবিবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়া মাঠে জনসভায় এমনই বললেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। তাঁর কথায়, “বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াচ্ছে, তা ভয়ঙ্কর। যে ভাবেই হোক ওদের আটকাতে হবে।’’ বৃষ্টির জন্য সমর্থক কম এসেছেন বলে দাবি সিপিএমের।

গত ৫ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হয় বনগাঁ স্টেডিয়ামে।
সেই উপলক্ষে ভাঙা পড়ে ফেন্সিং। সারানো হয়নি এখনও।—নিজস্ব চিত্র।

চলছে বিশ্বকাপের মরসুম। জলেকাদায় ভিজে ইছাপুরের মাঠে দাপাচ্ছে ছেলেরা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement