এই জমি নিয়েই অশান্তি। ছবি: সামসুল হুদা।
অন্যের জমি জবরদস্তি বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। দিন পাঁচেক আগে বাসন্তীর শিবগঞ্জ এলাকার তৃণমূল নেতা ওমর লস্কর তাঁর দলবল নিয়ে এসে ওই জমি হঠাৎ ঘিরে দেন বলে অভিযোগ।
শিবগঞ্জ বাজারে শিবগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকায় কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার প্রায় ৩ একর জমি ছিল। এই এলাকার বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি গত মাসে এই সংস্থার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ শতক জায়গা কিনেছিলেন। নাজিমুদ্দিন-সহ এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা ওই সংস্থার কাছ থেকে জমি কেনেন। অভিযোগ, তৃণমূলের কিছু লোকজন নাজিমুদ্দিনের কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করে। সেই টাকা না দিতে পারায় তৃণমূল তাঁর জমি দখল করেছে বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে নিজের জমি ঘিরতে গেলে তৃণমূলের ওই নেতা তাঁকে বাধা দেন এবং নিজেই ওই জমিটি ঘিরে দেন বলে জানান নাজিমুদ্দিন। নাজিমুদ্দিন বলেন, “আমার জমির কাছে আমাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে নানা ভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। জমি কিনেছি দেখে এই সমস্ত নেতারা আমার কাছ থেকে মোটা টাকা চেয়েছিল। আমি তা না দেওয়ায় ওরা জোর করে আমার জমি ঘিরে দিয়েছে।” এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা ওমর লস্কর বলেন, “আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি শুনেছি ওই জমিটা স্কুলের। তাই স্কুল থেকে ওই জমি ঘিরে দেওয়া হয়েছে।”
অথচ স্থানীয় বাসিন্দারা কোনওদিনই ওই স্কুলের কাউকে এই জমিটি ব্যবহার করতে দেখেননি। জমিটি আদৌ স্কুলের কিনা, তা জানেন না এলাকাবাসী। শিবগঞ্জ প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষিকা মিতালি সরকার বলেন, “আমি যখন স্কুলের দায়িত্ব পাই, তখন ওই জমিটির ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানাননি। তা ছাড়া, স্কুলের কাছে জমির কোনও কাগজপত্রও নেই। একবার কোথাও একটা শুনেছিলাম, জমিটি নাকি স্কুলের। কিন্তু তার কোনও সঠিক প্রমাণ নেই আমাদের কাছে।” স্কুল থেকে জমিটি ঘেরা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাসন্তী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মান্নান শেখের দাবি, তৃণমূল অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, “জমি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। এই ঘটনায় যদি আমাদের কেউ যুক্ত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।” এ প্রসঙ্গে বাসন্তী ব্লকের বিডিও কাওসার আলি বলেন, “একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। সেই মতো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”