ইছামতী সংস্কারে ৩০ কোটি বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি মমতার

বনগাঁ উপনির্বাচনের আগে ‘কল্পতরু’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বনগাঁ স্টেডিয়ামে ‘জেলার জনহিতকর প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস ও পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি’তে এসে ৭৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তিনি। শিলান্যাস করেছেন ৭৩টি প্রকল্পের। উদ্বোধন করা হয়েছে যে প্রকল্পগুলি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ১) ঠাকুরনগর-আলমপুর নতুন বাসরুট। ২) গাইঘাটায় গ্রন্থাগার। ৩) ৪টি ৭৫ মেট্রিক টনের ক্ষুদ্র হিমঘর। ৪) বারাসত জেলা হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে। ৫) বসিরহাট হাসপাতালে রক্ত সংরক্ষণ ইউনিট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৯
Share:

বনগাঁ সভায় মুখ্যমন্ত্রী।—নিজস্ব চিত্র।

বনগাঁ উপনির্বাচনের আগে ‘কল্পতরু’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বনগাঁ স্টেডিয়ামে ‘জেলার জনহিতকর প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস ও পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি’তে এসে ৭৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তিনি। শিলান্যাস করেছেন ৭৩টি প্রকল্পের।

Advertisement

উদ্বোধন করা হয়েছে যে প্রকল্পগুলি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ১) ঠাকুরনগর-আলমপুর নতুন বাসরুট। ২) গাইঘাটায় গ্রন্থাগার। ৩) ৪টি ৭৫ মেট্রিক টনের ক্ষুদ্র হিমঘর। ৪) বারাসত জেলা হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে। ৫) বসিরহাট হাসপাতালে রক্ত সংরক্ষণ ইউনিট। শিলান্যাস করা হয়েছে ১) বনগাঁ ও বসিরহাটে ৩০০ শয্যার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল। ২) হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ৪ শয্যার বিশেষ জরুরি বিভাগ ও পুলিশের আউটপোস্ট। ৩) বনগাঁ হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ ও লেবার রুমের মানোন্নয়ন। ৪) দমদম বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত যশোহর রোড চওড়া করা প্রভৃতি। এ দিনের অনুষ্ঠানে অনেককে মাছ ধরার সরঞ্জাম, কৃষি সরঞ্জাম, মহিলাদের সাইকেল দেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী বনগাঁ স্টেডিয়ামের পাশের মাঠে কংক্রিটের হেলিপ্যাড বানানো হয়েছিল। ক’দিন ধরেই পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা সেই কাজ দেখভাল করছিলেন। হেলিকপ্টার ওঠা-নামার মহড়াও হয়। কিন্তু রবিবার প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রযুক্তিগত কারণে ওই হেলিপ্যাড ব্যবহার করা হবে না। সেই মতো তড়িঘড়ি এক কিলোমিটার দূরে বনগাঁ কলেজের মাঠে হেলিপ্যাড বানানো হয়। সেখানেই এ দিন বেলা পৌনে ১টা নাগাদ নামে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিজি জিএমপি রেড্ডি-সহ পুলিশ-প্রশাসনের বহু কর্তা। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর, উপেন বিশ্বাসরাও ছিলেন মঞ্চে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে গোটা এলাকায় রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছিল। সভার আগে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা গিয়েছিলেন পেট্রাপোলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওঁরা সীমান্ত ঘুরে দেখেছেন। এটা আমাদের কর্মসূচির মধ্যেই ছিল। ওখানকার কী কী সমস্যা, তা খতিয়ে দেখেছেন ওঁরা।” সীমান্তের কাঁটাতার দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে গ্রামের মধ্যে দিয়ে তার না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে জেলাশাসক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন বলেও জানান মমতা।


আজ বনগাঁয় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।

প্রয়াত সাংসদ কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের বাবা, মতুয়াদের ধর্মগুরু প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের নামে বনগাঁয় কলেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে মমতা বলেন, “ইছামতী খাল (হবে নদী) সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব।” ইছামতী সংস্কারে এ দিন মঞ্চ থেকেই ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করে দেন মমতা। বনগাঁয় ফ্লাইওভার তৈরির জন্য বরাদ্দ করেন আরও ১০ কোটি টাকা। সব শুনে উপস্থিত হাজার কুড়ি মানুষের উচ্ছ্বাস কানে ভেসে এলেও বিরোধীদের তির্যক মন্তব্য, “মঞ্চ থেকে এমন বহু কিছু ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষমেশ কী হয়, তা তো সময়ই বলবে!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement