দত্তপুকুরে মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। —নিজস্ব চিত্র।
মালদহ থেকে ১২টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কলকাতা আসছিলেন এক মহিলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর ২৪ থানার দত্তপুকুর থানার আলগরিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, অস্ত্র পাচারের কাজ করতেন ওই মহিলা। শনিবার তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা শনিবার সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দত্তপুকুর থানার আলগরিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান। ওই সময় এক মহিলাকে তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর পাননি শুল্ক আধিকারিকেরা। তাঁরা খবর দেন দত্তপুকুর থানায়। এর পর পুলিশ এসে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর কাছে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ থেকে মেলে ১২টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ জানতে পারে, মালদহ থেকে ওই অস্ত্রগুলি আসে মহিলার কাছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় কলকাতায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। যদিও কার কাছ থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পেয়েছেন, কাকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন, এই সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পায়নি পুলিশ। এ জন্য মহিলাকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম পূজা বিশ্বাস। বছর ৪৫-এর ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনি মূলত অস্ত্র পাচারের কাজ করতেন। এমনকি, ভিন্রাজ্যেও আগ্নেয়াস্ত্র পাচারে হাত পাকিয়েছিলেন অভিযুক্তা। তাঁকে বারাসাত আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বিচারপতি ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই মহিলার সঙ্গে বড় কোনও অস্ত্র পাচারচক্র জড়িত থাকতে পারে সন্দেহ করছে পুলিশ।