বাড়িতে সন্তান প্রসব, মৃত্যু মহিলার

বাড়িতে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার ক্যানিঙের হাটপুকুরিয়ার ভলেরা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম নার্গিস বিবি (২৫)। তাঁর বাড়ি ওই গ্রামেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৬ ০৩:২০
Share:

বাড়িতে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার ক্যানিঙের হাটপুকুরিয়ার ভলেরা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম নার্গিস বিবি (২৫)। তাঁর বাড়ি ওই গ্রামেই।

Advertisement

মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমাতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবে সন্তান প্রসব করানোর কথা বারবার বলা হচ্ছে। প্রসূতিরা যাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এসে সন্তান প্রসব করতে পারেন তার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে মাতৃযান চালু করা হয়েছে। তা ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রসব করালে ‘জননী সুরক্ষা যোজনা-য়’ প্রসূতি মায়েদের আর্থিক সাহায্য-সহ নানা রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে তা হলে ক্যানিঙের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বাড়িতেই সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে কেন?

মৃতার কাকা নিজামুদ্দিন মোল্লা জানান, নার্গিসের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সে সময়েও বাড়িতেই তাঁকে প্রসব করানো হয়েছিল। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রসব করাতে হবে এমন কোনও নিয়ম আছে বলে আমাদের জানা নেই। সে কারণে বাড়িতেই সন্তান প্রসব করানো হয়।’’ দায়িত্বপ্রাপ্ত মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রবীর বিশ্বাস বলেন, ‘‘এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। আমি ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছি। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বাড়িতে দাইমা ডেকে নার্গিসকে প্রসব করানো হয়। তাঁর একটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু এর পরে রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠাতে চাইলে নার্গিসের পরিবার থেকে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসাও বাধে। অভিযোগ, হাটপুকুরিয়ার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিরাজ ঘরামি থানায় এসে ওই পরিবারের পক্ষ নেন। তিনিও পুলিশকে দেহ ময়না-তদন্ত না করানোর জন্য চাপ দেন। কিন্তু পুলিশ তা মেনে না নেওয়ায় পরে ওই বধূর দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। দেহের সুরতহালও হয়েছে।

Advertisement

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজ বলেন, ‘‘আমি পুলিশের কাজে বাধা দিইনি। থানায় গিয়েছিলাম ওই পরিবারকে বোঝাতে ও পুলিশকে সাহায্য করতে।’’

স্মারকলিপি। আমানতকারীদের টাকা ফেরত, এজেন্টদের নিরাপত্তা-সহ ৫ দফা দাবিতে ক্যানিং মহকুমা শাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল অল বেঙ্গল চিট ফান্ড ডিপোজিটার্স এন্ড এজেন্ট ফোরাম। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ওই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement