—প্রতীকী চিত্র।
রায়দিঘির হোটেলে উঠেছিলেন এক পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে। বুধবার বিকেল নাগাদ তাঁদের ঘর বুঝিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন হোটেলের ‘বয়’। সেই ঘর থেকে মিলল মহিলার দেহ। কোথাও দেখা নেই সঙ্গীর। কী ভাবে মারা গেলেন ওই মহিলা এবং তাঁর সঙ্গী কোথায় গেলেন, তা নিয়ে ধাঁধায় হোটেল কর্তৃপক্ষ। এমনকি, মহিলার পরিচয়ও জানাতে পারেননি তাঁরা। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বাজার এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রায়দিঘি বাজারের উপর অবস্থিত একটি হোটেলের ঘরে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পায় তারা। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। হোটেলের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায়, বুধবার বিকেলে ওই হোটেলে উঠেছিলেন মহিলা। তাঁর সঙ্গে এক যুবক ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই যুবক হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। তখন হোটেলের ঘরেই ছিলেন ওই মহিলা। বেশ কিছু ক্ষণ পর তাঁকে ডাকতে গিয়ে ঘরের মধ্যে নিথর দেহ দেখতে পান হোটেলের এক কর্মী। শুরু হয় উত্তেজনা। কিন্তু, কী ভাবে মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মধ্যবয়স্কার পরিচয়ও জানাতে পারেননি হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও পরিচয়পত্র ছাড়াই ঘর ভাড়ায় দিয়ে দিয়েছিলেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার ওই হোটেলটি পুলিশ ‘সিল’ করে দিয়েছে বলে খবর।
কেন পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়নি এবং হোটেলের ভিতরে ঠিক কী ঘটেছিল, এই সব প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে চাননি কর্তৃপক্ষ। খুন না কি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চলছে দেহ শনাক্তের কাজও।