পাকড়াও: দুলাল মজুমদার
মেয়েকে দা দিয়ে কুপিয়ে নিজের পিসির বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল বাবা। সেই পিসি-ই পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দিলেন ভাইপোকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দুলাল মজুমদার। বাড়ি অশোকনগর থানার ৩ নম্বর জনকল্যাণপল্লি এলাকায়। রবিবার রাতে অশোকনগর থানার পুলিশ বেলুড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার বারাসত জেলা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ দা ও কুড়ুল উদ্ধার করেছে। দুলালের বিরুদ্ধে পুলিশ মেয়েকে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলালের মেয়ে বর্ণালি আড়াই মাস আগে গোলবাজার এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর হালদারকে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। যা মেনে নিতে পারেনি দুলাল। সেই আক্রোশেই রবিবার সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে দা-কুড়ুল নিয়ে সে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘরে ঢুকে মেয়েকে কোপায়। বর্ণালির শাশুড়ি সরস্বতীর গলায় দা ধরে তাঁর হাত মচকে দেয় অভিযোগ। এলাকার লোকজন ছুটে এলে দুলাল পালিয়ে যায়। সরস্বতী অশোকনগর থানায় দুলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জনগণের তাড়া খেয়ে দুলাল বেলুড়ে তার পিসি লক্ষ্মী রায়ের বাড়িতে পালিয়ে যায়। ভাইপোর আচরণ স্বাভাবিক ঠেকেনি লক্ষ্মীর। তিনি ভাইপোর স্ত্রী সোমাকে ফোন করেন। সোমা তাঁকে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলেন।
এরপরেই লক্ষ্মী সিদ্ধান্ত নেন, ভাইপোকে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। তিনি বেলুড় থানায় ফোন করেন। ভাইপোকে ঘরে আটকে রাখেন। পুলিশ লক্ষ্মীর বাড়িতে যায়। খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা দুলালকে গ্রেফতার করে।
পুলিশকে লক্ষ্মী জানিয়েছেন, ভাইপোর এমন কাজ তিনি মেনে নিতে পারেননি। সোমার কথায়, ‘‘মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনার কথা বলে আমার উপরেও নির্যাতন করত স্বামী। কিন্তু মেয়ের আঠারো বছর হয়ে গিয়েছে। ভালবেসে বিয়ে করতেই পারে।’’
বর্ণালি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে পুলিশ।